রুয়েট থেকে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সভাপতি-সম্পাদক আজীবন বহিষ্কার
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট)শাখার সভাপতি ফাহমিদ লতিফ লিয়ন, সাধারণ সম্পাদক সৌমিক সাহাসহ চার নেতাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে আরও ৪৪ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
জুলাই অভ্যুত্থানে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সভায় তাদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন রুয়েট উপাচার্য এস এম আব্দুর রাজ্জাক।
আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রুয়েটের সভাপতি ও পুরকৌশল বিভাগের ২০১৪-১৫ সেশনের ছাত্র ফাহমিদ লতিফ লিয়ন, সাধারণ সম্পাদক ও সিএসই বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের ছাত্র সৌমিক সাহা, যন্ত্রকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের ছাত্র শাশ্বত সাহা সাগর, পুরকৌশল বিভাগের ২০১৯-২০২০ সেশনের ছাত্র মৃন্ময় কান্তি বিশ্বাস।
রুয়েটের প্রকৌশল শাখার সহকারী প্রকৌশলী নাঈম রহমান নিবিড়, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডাটা প্রসেসর মো. মহিদুল ইসলাম, শিক্ষা শাখার সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রোগ্রামার এ.কে.এম. আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রুয়েটের সংশ্লিষ্ট ফোরামে অনুরোধ করা হয়েছে।
গত ১৯ আগস্ট অভিযানের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন আবাসিক হলের কক্ষে অস্ত্র ও মাদকসহ নিষিদ্ধ দ্রব্য রাখার দায়ে আপাতত আবাসিক হল থেকে বহিষ্কার ও তদন্ত কমিটি গঠন করে পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। অপর দিকে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করায় দুই শিক্ষার্থীকে ৪ সেমিস্টার বা ২ শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে।
রুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ও ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির সদস্যসচিব অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে রুয়েট প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। এসব অভিযোগ যাচাই করে দেখা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে, সেটির ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এ জন্য ৪ শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ২ জনকে ৪ সেমিস্টার বা ২ শিক্ষাবর্ষের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া ৪২ জনকে আবাসিক হল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
