মেয়ের বিয়ের জন্য জামিন পেলেন শ্রমিক লীগ নেতা

আদালত প্রতিবেদক
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৯:৫৫
শেয়ার :
 মেয়ের বিয়ের জন্য জামিন পেলেন শ্রমিক লীগ নেতা

জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে বাদীর জমি আত্মসাতের মামলায় গাজীপুর জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মতিউর রহমান মোল্লার জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার শুনানির পর প্রথমে জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেম আদালত। এই আদেশের পরে আসামিকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পুনারায় জামিন আবেদন করলে আগামী ৩ মার্চ আসামির মেয়ের বিয়ে উপলক্ষে বিশেষ বিবেচনায় তাকে সেদিন পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।

আজ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমান দুই দফা শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী সোহাগ ফকির বলেন, গত ২৬ জানুয়ারি আসামি মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী রেনুয়ারা বেগমকে বাদীর জমি ফেরত দেওয়ার শর্তে জামিন দেন আদালত৷ তবে আসামিরা বাদীর জমি ফেরত দেননি। এ কারণে মঙ্গলবার প্রথম শুনানির পর আসামি মতিউর রহমানের জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। একই সঙ্গে নারী বিবেচনায় আগামী ধার্য তারিখ পর্যন্ত তার স্ত্রীর জামিন বহাল রাখেন।

তিনি আরও বলেন, আসামি মতিউর রহমান মোল্লার মেয়ের বিয়ে আগামী ৩ মার্চ অনুষ্ঠান হওয়ায় আদালত বিশেষ বিবেচনায় পরে তার জামিন বর্ধিত করেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ১৯৯৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পীর ইয়েমেনী মার্কেটে বসে শ্রী সরবা চন্দ্র বর্মনের সঙ্গে একটি এওয়াজ পরিবর্তন দলিলের মৌখিক চুক্তি হয়। এওয়াজকৃত জমি সরবা চন্দ্র বর্মনের কাছে বুঝিয়ে না দিয়ে আসামিরা তাদের ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ জমি দলিল করে নেন। আসামিরা প্রতারণা করে সরবা চন্দ্র বর্মনের জমি অন্যের কাছে বিক্রি করেন। মামলার বাদী বারবার আসামিদের কাছে তার পাওনা জমি বুঝিয়ে দেওয়ার জন্য তাগিদ দিলেও তা এখনো বুঝিয়ে দেওয়া হয়নি।

সর্বশেষ গত বছরের ২৬ এপ্রিল আসামিরা বাদীর বাসায় মীমাংসার জন্য বসেন। সেখানে আসামি মতিউর রহমান বাদীকে জানিয়ে দেন, এই জমি কখনো ফেরত দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে বাদী প্রতিবাদ করলে আসামিরা বাদীকে বলেন, তার মেয়ে এসপি (পুলিশ সুপার)। বাদীকে ক্রসফায়ার দিয়ে মেরে ফেলবেন। এ ছাড়া বিভিন্ন হুমকি দেওয়া হয়।

ওই ঘটনায় গত বছরের ২ জুন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন সরবা চন্দ্র বর্মন। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। সম্প্রতি মামলাটি তদন্ত করে অভিযুক্তপত্র দাখিল করে পিবিআই।

আদালত এ প্রতিবেদন আমলে নিয়ে গত ১৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।