কারাগারে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া যায় কি না, প্রশ্ন ফারুক খানের

অনলাইন ডেস্ক
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৫:৫৭
শেয়ার :
কারাগারে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া যায় কি না, প্রশ্ন ফারুক খানের

কারাগারে বসে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়া যায় কি না সে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক মন্ত্রী লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফারুক খান। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলার ঘটনায় মতিঝিল থানায় দায়ের করা মামলায় আজ বুধবার রিমান্ড শুনানি শেষে হাজতখানায় যাওয়ার পথে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ পাল্টা প্রশ্ন তোলেন।

মির্জা আব্বাসের গাড়িবহরে হামলায় করা মামলার শুনানি শেষে আদালত ফারুক খানকে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন শঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের বিচারক এম এ আজহারুল ইসলাম। এ ছাড়া এ মামলায় সাবেক মন্ত্রী, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননকেও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন একই আদালত।

শুনানি শেষে সিএমএম আদালতের হাজতখানায় নিয়ে যাওয়ার পথে কারাগার থেকে ফারুক খানকে তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে স্ট্যাটাস দেওয়া প্রসঙ্গে জানতে চান এক সাংবাদিক। জবাবে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘কারাগার থেকে কি স্ট্যাটাস দেব? এটা মিথ্যা কথা। কারাগার থেকে কি স্ট্যাটাস দেওয়া যায়?’

গত বছরের ১৪ অক্টোবর রাতে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকা থেকে ফারুক খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি কারান্তরীণ ফারুক খানের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়া হয়। যা ভাইরাল হয়ে পড়ে। এ নিয়ে নেট দুনিয়ায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়।ওই স্টাস্টাসে লেখা হয়, ‘অনেক কিছু বলতে চাই, কিনতু এখন সবই বলতে পারছি না। এতটুকুই বলবো শেখ হাসিনাকে নেত্রী মেনেছিলাম কিন্তু আজকে তার হঠকারিতার জন্যেই আমাদের দলের এই পরিণতি। দলের নেতৃ্ত্বে পরিবর্তন এবং সর্বস্তরে শুদ্ধি অভিযান ব্যতিত কোন ধরনের রাজনীতিতে ফেরা উচিত হবেনা। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ আর চাই না, বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ ফেরত চাই। জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু।’