‘ছোট ভাই কাদের মির্জাকে দিয়ে চাঁদাবাজি করতেন ওবায়দুল কাদের’
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও ফারইস্ট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং মেট্রো হোমসের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ফখরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তার ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাকে দিয়ে নিজ এলাকায় চাঁদাবাজির সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন।’
গতকাল শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মধ্য চরকাঁকড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে ছয় শতাধিক গরিব অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশে আর কখনো এ এলাকায় পলাতক ওবায়দুল কাদের ও কাদের মির্জার মতো নতুন কোনো সন্ত্রাসের গডফাদার জনগণ দেখতে চায় না। গত ১৬-১৭ বছর আওয়ামী লীগ ব্যতিত আর কারও কথা বলার সুযোগ ছিল না এখানে। ওবায়দুল কাদের দিনের ভোট রাতে করে পরপর চারবার ভোট ডাকাতি করে এমপি হয়েছিলেন। তার প্রশ্রয়ে তার ভাই কাদের মির্জার নির্দেশে এখানে সাংবাদিক মুজাক্কির ও শ্রমিক আলা উদ্দিনসহ একাধিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছিল। এসব হত্যাকাণ্ডের দ্রুত বিচার দাবি করছি।’
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী সংসদ নির্বাচনে আপনাদের সমর্থন পেলে অস্ত্র-সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি-টেন্ডারাবাজি মুক্ত, চাকরি বাণিজ্য ও ঘুষ মুক্ত কোম্পানীগঞ্জ উপহার দিতে চাই। বিএনপিতে কোনো চাঁদাবাজ, দখলবাজ, টেন্ডারবাজ ও সন্ত্রাসীর স্থান নেই।’
তিনি উপস্থিত জনতাকে প্রশ্ন করে বলেন, ‘আমার আশেপাশে এ ধরনের কোনো চাঁদাবাজ টেন্ডারাবাজ লোক আছে কিনা আপনারাই বলুন।’
এ সময় চরকাঁকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জসিম উদ্দিন মেম্বারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল হক, সদস্য একরামুল হক মিলন মেম্বার, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান টিপু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিন উদ্দিন ছোটন, উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম স্বপন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন খান, উপজেলা জিয়া মঞ্চের আহ্বায়ক নুর নবী আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুদ সারোয়ার রনি, ইউনিয়ন যুবদলের সাবেক সভাপতি কামরুল ইসলামসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।