খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও বাস্তবায়নে সংস্কারের অপরিহার্যতা নিয়ে বিবিএমএ-এর সেমিনার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২২:১৭
শেয়ার :
 খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও বাস্তবায়নে সংস্কারের অপরিহার্যতা নিয়ে বিবিএমএ-এর সেমিনার

বাংলাদেশ বেভারেজ ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিবিএমএ) ঢাকার ইস্কাটনে, বিআইআইএসএস অডিটোরিয়ামে ‘খাদ্য নিরাপত্তা: নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও বাস্তবায়নে সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের সেমিনার আয়োজন করেছে। এই সেমিনারে সরকারি সংস্থা, নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এবং খাদ্য শিল্পের প্রধান স্টেকহোল্ডাররা অংশগ্রহণ করেন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থাপনা, সমন্বয় ও বাস্তবায়নে সংস্কারের জরুরি প্রয়োজন নিয়ে আলোচনা করেন।

সেমিনারের সূচনা ও উদ্বোধনী বক্তব্য, আলোচনার পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করে। বিসিএসআইআর-এর পরিচালক মনজুর মোর্শেদ আহমেদ সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, যেখানে তিনি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ঘাটতিগুলো সুচারুরূপে তুলে ধরেন এবং কার্যকর ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রয়োগের জন্য একটি সুগঠিত কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন।

মূল প্রবন্ধের পর, বিএফএসএ-এর প্রাক্তন অতিরিক্ত সচিব মাহবুব কবির মিলন প্যানেল আলোচনায় নেতৃত্ব দেন। যেখানে তিনি খাদ্য উৎপাদন ও বিতরণের প্রতিটি স্তরে আন্তঃসংস্থার সমন্বয় জোরদারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। তিনি একটি একীভূত নিয়ন্ত্রক কাঠামো এবং ভোক্তাদের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে কঠোর পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থার আহ্বান জানান।

সেমিনারে খাদ্য ও পানীয় শিল্পের বিশিষ্ট কর্মকর্তা, নীতিনির্ধারক এবং শিক্ষাবিদগণ উপস্থিত ছিলেন। আলোচনায় বর্তমান খাদ্য নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ, নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা এবং খাদ্য শিল্পের ভূমিকা নিয়ে আলোকপাত করা হয়। উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মতামত প্রকাশ করেন এবং সম্ভাব্য সমাধান নিয়ে আলোচনা করেন, যা সেমিনারকে আরও প্রাণবন্ত এবং ইন্টারঅ্যাকটিভ করে তোলে।

সেমিনারের সমাপনী বক্তব্যে বিবিএমএ-এর জেনারেল সেক্রেটারি শেখ শামীম উদ্দিন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা আইনকে আরও শক্তিশালী করতে এবং স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে। এই সেমিনারটি বাংলাদেশে খাদ্য নিরাপত্তার সংস্কারের জরুরি প্রয়োজনকে সফলভাবে তুলে ধরেছে এবং ভবিষ্যৎ নীতিগত উন্নতির জন্য একটি ভিত্তি স্থাপন করবে।