আধুনিক ফিচার সমৃদ্ধ নতুন বাইক নিয়ে এলো হিরো বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বাজারে হিরো মোটরসাইকেল যুগের সাথে তাল মিলিয়ে অত্যাধুনিক মোটরসাইকেল তৈরি করছে, তারই ধারাবাহিকতায় হিরো বাজারে নিয়ে এলো নতুন ইগনাইটর এক্সটেক যা ১২৫ সিসি সেগমেন্টে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। আধুনিক সব ফিচার সমৃদ্ধ নতুন ইগনাইটর এক্সটেকের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলো হচ্ছে স্মার্ট কানেক্টিভিটির সাথে এলসিডি মিটার কনসোল যার মাধ্যমে ফোন কলারের নাম, মিসড কল এলার্ট এবং এসএমএস নোটিফিকেশন ও সার্ভিস ডিউ রিমাইন্ডার দেখতে পারবেন। এর সম্পূর্ণ নতুন ‘H’ এলইডি হেড ল্যাম্প নিশ্চিত করবে ১২ শতাংশের বেশি আলো, ইনটিগ্রেটেড ব্রেকিং সিস্টেম দিবে কন্ট্রলিংয়ের আত্মবিশ্বাস আর USB পোর্টের মাধ্যমে চার্জ করে নেওয়া যাবে প্রয়োজনীয় ডিভাইসগুলো। এ ছাড়াও বাইকটির নতুন সংযোজন বেলিপেন ও শর্টার মাফলার বাইকটিকে করেছে আরও আকর্ষণীয়। নতুন ইগনাইটর এক্সটেকের উদ্বোধনী বাজারমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। নতুন ইগনাইটর এক্সটেক বাংলাদেশের বাজারে ব্যাপক সাড়া জাগাবে বলে আশা ব্যক্ত করেন হিরো বাংলাদেশের ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল মুসাব্বির আহমেদ।
গত বৃহস্পতিবার মহাখালীর নিটল নিলয় সেন্টারে এক জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এই অত্যাধুনিক মোটরসাইকেলটি উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হিরো বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ, ম্যানেজিং ডিরেক্টর আব্দুল মুসাব্বির আহমেদ, কোম্পানি সেক্রেটারি ও সিএফও বিজয় কুমার মণ্ডল, চীফ অপারেটিং অফিসার আবদুল মাজেদসহ কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
লঞ্চের বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে হিরো বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আব্দুল মাতলুব আহমেদ বলেন, ‘সুদীর্ঘকাল থেকে হিরো বাংলাদেশের সুপরচিত ব্র্যান্ড। হিরো সব সময়ই বাইকরে লো-মনেটইেনন্সে ও হাই মাইলেজ নিশ্চিতসহ প্রযুক্তিগতভাবে অত্যাধুনিক মানরে পণ্য সরবরাহরে মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সম্পৃক্ত থকেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘অত্যাধুনিক ফিচার ও আকর্ষণীয় ডিজাইন গ্রাহকদের নজর কাড়বে, সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে টেকনোলজি ব্যবহারের মাধ্যমে মোটরসাইকলেগুলো আরও জনপ্রিয়তা পাবে।’
হিরো বিশ্বে বিগত ২১ বছর ধরে এক নম্বর টু-হুইলার কোম্পানি। প্রতিষ্ঠার পর থেকে ১১০ মিলিয়নেরও বেশি মোটরসাইকেল এবং স্কুটার বিক্রয় করেছে এবং বর্তমানে এশিয়া, আফ্রিকা, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ ও মধ্য আমেরিকার ৪০ টিরও বেশি দেশে তার পণ্য বিক্রি করছে। হিরোই একমাত্র গ্লোবাল ব্র্যান্ড যারা সর্ব প্রথম বাংলাদেশে ২০১৭ সালে নিজস্ব ম্যানুফ্যেকচারিং ফ্যাক্টরি স্থাপন করে। বাংলাদেশে অবস্থিত নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে সকল নিয়ম অনুযায়ী ১০০ থেকে ১৬০ সিসি পর্যন্ত মোটরসাইকেল উৎপাদন করে যাচ্ছে। হিরো সবসময়ই বাইকের লো-মেনটেইনেন্স ও হাই মাইলেজ নিশ্চিত করাসহ প্রযুক্তিগতভাবে অত্যাধুনিক মানের পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে গ্রাহকদের সাথে সম্পৃক্ত থেকেছে। আর এক্সটেক এর প্রধান বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফুল ডিজিটাল স্মার্ট মিটার কনসোল সাথে স্মার্ট কানেক্টিভিটি, আর এই কানেক্টিভিটির মাধ্যমে বাইক রাইডিং এর সময় ফোন এর সাথে কানেক্ট থাকবে, এতে করে ফোন কলারের নাম মিটার কনসোলে দেখাবে, মিসড কল এলার্ট এবং এসএমএস নোটিফিকেশন ও সার্ভিস ডিউ রিমাইন্ডার দেখা যাবে। এ ছাড়াও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবহার করা হয়েছে ইনটিগ্রেটেড ব্রেকিং সিস্টেম যা বাইক রাইড করার সময় দিবে নতুন অভিজ্ঞতা। হিরোর এক্সটেক রেঞ্জ এর অন্য মডেলগুলো হচ্ছে: স্প্লেন্ডর প্লাস এক্সটেক,প্যাশন এক্স প্রো এক্সটেক, এবং মায়েস্ত্রো এজ এক্সটেক।
