রিমান্ড নাকচ /

শিবলী রুবাইয়াতকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক
০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৪:৪৪
শেয়ার :
শিবলী রুবাইয়াতকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

দুর্নীতির মামলায় বাংলাদেশ সিকিউরিটি এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের রিমান্ড আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দুজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

 আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব শুনানি শেষে এ আদেশ দেন। এর আগে, পৃথক দুই মামলায় তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে দুদক। 

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এবং রাষ্ট্রপক্ষে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। 

আসামি রুবাইয়াতের পক্ষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সিনিয়র আইনজীবী বোরহান উদ্দিন এবং অপর আসামির পক্ষে আইনজীবী খোরশেদ আলম, গোলাম মোস্তফা খান, খোরশেদ মিয়া আলম, নজরুল ইসলাম শুনানি করেন। 

এর আগে, গতকাল বুধবার তাদের আদালতে হাজির করা হয়। সেদিন তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়ে বৃহস্পতিবার রিমান্ড শুনানির দিন ঠিক করেন। 

বুধবার দুদকের উপপরিচালক (মানিলন্ডারিং) মো. মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে শিবলী রুবাইয়াতসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। 

এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- মোনার্ক হোল্ডিং ইন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ. মতিন, ঝিন বাংলা ফেব্রিক্সের প্রোপাইটর আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসির দিলকুশা শাখার ফরেন এক্সচেঞ্জ বিভাগের সাবেক ইনচার্জ ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল হোসেন, এসইভিপি সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।

মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুয়া বাড়ি ভাড়া চুক্তিনামা দেখিয়ে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আসামি শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম এক কোটি ৯২ লাখ টাকা বা প্রায় দুই লাখ ২৬ হাজার ৩০৮ ইউএস ডলার ঘুষ গ্রহণ করেন। এ ছাড়া ভুয়া বিক্রয় চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানি না করে প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণ করে। ব্যাংক কর্মকর্তারা কাস্টমার ডিউ ডিলিজেন্স অনুসরণ না করে, পণ্য রপ্তানির বিপরীতে কোনোরূপ রেকর্ডপত্র না পেয়েও কর্তব্যে অবহেলা ও পরস্পর যোগসাজশে ‘নিজের বা অন্য কারও অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে ৩ লাখ ৬১ হাজার ইউএস ডলার টাকা বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে। এর মধ্যে তিনি এক কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার টাকা নিজে গ্রহণ করেন।’ 

এদিকে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে দুদক। 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের নামে মোট ৭২ কোটি ৮৫ লাখ ৩ হাজার ৫২৮ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়া গেছে, যার বিপরীতে তার গ্রহণযোগ্য আয় ৫৩ কোটি ৫৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৭ টাকা।এ ক্ষেত্রে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯০৮ টাকা। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রভাব ব্যবহার করে গত ১৬ বছরে রেলের বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।