প্রকাশ্যে মির্জা ফখরুলের অজানা কথা
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। দেশের পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদের একজন তিনি। এক সময় যুক্ত ছিলেন শিক্ষকতা পেশায়। যা সবারই জানা। আর এবার জানা গেল, এই রাজনীতিবিদ এক সময় যুক্ত ছিলেন অভিনয়ের সঙ্গে। ছিলেন খেলাধুলার সঙ্গেও। সম্প্রতি প্রচারিত জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে নির্মাতা ও উপস্থাপক হানিফ সংকেত জানতে চান- আপনি এক সময় ঠাকুরগাঁওয়ের প্রাচীন নাট্য সমিতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন, নাট্য নির্দেশক, সু-অভিনেতা ছিলেন। যা অনেকের কাছে অজানা, সেসময়ের উল্লেখযোগ্য স্মৃতির কথা যদি বলতেন?
উত্তরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনেক পুরোনো। রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের অভিষেক উপলক্ষে এই নাট্য সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যে কারণে ওই সময় থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে নাট্যচর্চা শুরু হয়েছিল। একজনের নাম না বললে আমার জন্য অন্যায় করা হবে, উনিও দ্বিতীয় প্রজন্ম ছিলেন ফনীদী ভূষণ পালিদ। উনি ছিলেন অসাধারণ সৃজনশীল মানুষ, নাটক এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে। ছাত্রজীবন থেকে ঠাকুরগাঁওয়ে নাটকের সঙ্গে আমি জড়িত, এই ফনী পালিদের হাতে আমার হাতেঘড়ি।’
এরপর হানিফ সংকেত এই রাজনীতিবিদের কাছে জানতে চান- সংস্কৃতি জগৎ ছাড়াও এক সময় আপনি শিক্ষকতাও করেছেন, পরবর্তীতে যুক্ত হয়েছেন রাজনীতির সঙ্গে। এক সময়ের গুণী নাট্যজন, শিক্ষক এবং রাজনীতিবীদ- এই তিনটি বিষয়ের মধ্যে কোনটি আপনার কাছে বেশি উপভোগ্য?
এমন প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘নিঃসন্দেহে সাংস্কৃতিক জগৎটাই বেশি উপভোগ্যের বিষয়। বিশেষ করে বাংলাদেশের সামগ্রিক যে পরিস্থিতি- রাজনীতি পেক্ষাপটের মধ্যে আমাদের সময়টা ছিল অতান্ত চমৎকার, যেখানে আপনি তৃপ্তি লাভ করতে পারবেন।’
খ্যাতিমান চিত্রনায়ক রহমান (আবদুর রহমান) ছিলেন সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মামাতো ভাই। এই চিত্রতারকা ও ঢাকাই সিনেমার নবাব’খ্যাত অভিনেতা আনোয়ার হোসেন সঙ্গেও মঞ্চে অনেক নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। বিষয়টিকে ‘সৌভাগ্য’ বলেই মনে করেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তার কথায়, ‘তাদের সঙ্গে অভিনয় করার সৌভাগ্য আমার হয়েছে। নাটক পরিচালনা করার সৌভাগ্যও আমার হয়েছিল।’
শুধু সাংস্কৃতিক অঙ্গন নয়, ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘ঠাকুরগাঁওয়ে ক্রীড়া জগতেও সবসময় আমি মাঠে থাকতাম। একজন ক্রিকেটার এবং অর্গানাইজারও থাকতাম আমি।’
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আরও একটি অসাধারণ গুণের কথা উঠে এসেছে ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্বে। এই রাজনীতিবীদ বেশ ভালো কবিতাও আবৃত্তি করেন। অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘দুঃসময়’ কবিতার কয়েক লাইন আবৃত্তি করেও শোনান দর্শকদের।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের