কুবি শিক্ষার্থীকে অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর উদ্ধার, আটক ১
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ সবুজ নামের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়েছিল। অপহরণের চার ঘণ্টা পর কুমিল্লা শহরের তোয়া হাউজিং এলাকা থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে অপহরণকারীদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে শাকিলকে উদ্ধার করা হয়।
ভুক্তভোগী শাকিলের ভাষ্যমতে, রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিউশন শেষ করে কুমিল্লা শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তিনি সিএনজিতে উঠেন। অপহরণকারীরা একই সিএনজিতে অবস্থান করে। পরবর্তীতে দৌলতপুর এলাকায় আসার পর তাকে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি সিএনজি থেকে লাফ দেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য অটোরিকশা নিলে এখানেও অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়। পরবর্তীতে তার পেটে ছুরি ধরে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে আটকে রাখে। এরপর শাকিলের ফোন দিয়ে পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরনকারীরা।
কুবি শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ সবুজ। ছবি: সংগৃহীত
অপহরণকারীদের মধ্যে আটককৃত একজন কুমিল্লার সাতোরা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নাহিদ (২০)।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে মো. নাহিদ বলেন, ‘তারা পাঁচজন মিলে শাকিলকে অপহরণ করে। বাকী চারজন হলেন বিষ্ণপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলা এলাকার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), ফৌজদারি এলাকার শাহিন (২০) এবং আকাশ (২০)।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অপহরণের তথ্যটি পেয়ে শাকিলের (ভুক্তভোগী) নাম্বার সংগ্রহ করে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে পুলিশ প্রশাসন ট্রেক করে তোয়া হাউজিং এলাকায় তার অবস্থান জানতে পারে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহরের কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এবং পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় শাকিলকে সুস্থভাবে উদ্ধার করা হয়েছে। পাশাপাশি, অপহরণকারীদের মধ্যে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।’
এদিকে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই রাকিবুল হাসান বলেন, ’আমরা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অপহরণকারীদের একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’