শাবিপ্রবিতে ১ হাজার আসন বিশিষ্ট ২টি হলের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ১ হাজার আসনের ১০ তলা বিশিষ্ট ছেলেদের জন্য একটি এবং মেয়েদের জন্য একটি আবাসিক হল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ২টি হল নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী (প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদা) অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলাম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী, উপ-উপাচার্য ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, দপ্তর প্রধান, বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মিলনায়তনে শাবিপ্রবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম আমিনুল ইসলামকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সময়ে বাংলাদেশের যত বিশ্ববিদ্যালয় আছে এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর ও সুশৃঙ্খলভাবে পরিচালিত হচ্ছে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভাবন, গবেষণা দেশের গণ্ডি পেরিয়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়ছে। আশা করি আগামীতে এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
স্বতন্ত্র পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট এবং একাডেমিক কাউন্সিল যে সিদ্ধান্ত নিবে তাদেরকে সেটি করতে দেওয়া প্রয়োজন। এখানে অন্য কারো হস্তক্ষেপ কিংবা সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যদি সিদ্ধান্ত নেয় তারা এককভাবে পরীক্ষা নিবে। তখন তারা তা নিতে পারবে। আবার কেউ গুচ্ছতে থেকে পরীক্ষা নিতে চাইলে সেটিও তারা করতে পারেন। তবে তাদের উপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া উচিত হবে না।
মহান মুক্তিযুদ্ধের ও জুলাই বিপ্লবের শহীদদের আত্নার মাগফেরাত এবং আহতদের আরোগ্য কামনা করে বিশেষ সহকারী ড. আমিনুল ইসলাম বলেন, আমি এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যত ভালবাসা পেয়েছি তা আর কোথাও পাইনি। পাশাপাশি আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়কে যত ভালোবাসি এমন করে আর কোনো বিশ্ববিদ্যালয়কে ভালোবাসিনি। এই ভালোবাসা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাবে। আমর সময়ে বনায়ন ও ক্যাম্পাস পরিচ্ছন্নতার জন্য পরপর দুইবার পুরস্কার পেয়েছিলাম। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা সবসময় বজায় ছিল।
অন্যদিকে বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সাংগঠনিক সপ্তাহ পরিদর্শন শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন এবং বিভাগীয় প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।