অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছর করে কারাদন্ড

আদালত প্রতিবেদক
৩০ জানুয়ারী ২০২৫, ২০:৩৫
শেয়ার :
অর্থপাচার মামলায় এনু-রুপনের ৭ বছর করে কারাদন্ড

অর্থপাচার প্রতিরোধ আইনে মামলায় আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা পুরান ঢাকার দুই ভাই এনামুল হক ভূঁইয়া ওরফে এনু ও তার ভাই রুপন ভূঁইয়ার সাত বছর করে কারাদন্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।  রায়ে অপর আসামির চার বছর করে কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার ৬ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাসুদ পারভেজ এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ে কারাদন্ডের পাশাপাশি ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকার দ্বিগুণ অর্থাৎ ৩৪ লাখ ২৬ হাজার ৬০০ টাকা আসামিদের অর্থদন্ডও করেছেন আদালত।

দন্ডিত অন্যরা হলেন শহিদুল হক ভূঁইয়া, রশিদুল হক ভূঁইয়া, মিরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, তুহিন মুন্সি, নবীর হোসেন সিকদার, সাইফুল ইসলাম ও জয় গোপাল সরকার।

এ ছাড়া রায়ে জব্দকৃত ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের আদেশও দিয়েছেন আদালত।

সংশ্লিষ্ট আদালতের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মিয়া জাহিদুল ইসলাম রায়ের এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রায় ঘোষণার আগে কারাগারে আটক এনু, রুপন, শহিদুল, নবীর হোসেনকে আদালতে হাজির করা হয়। জামিনে থাকা সাইফুল ইসলাম ও জয় গোপাল আদালতে হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

রায়ের পরে সাজা পরোয়ানাসহ সব আসামিকে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে পলাতক থাকায় অপর দুই আসামি মেরাজুল ও তুহিন বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দায়ের করা মামলায় এর আগেও সাজা হয়েছে এনু-রুপনের। ২০২৩ সালের ২৮ নভেম্বর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আরেক মামলায় এনু ও তার ভাই রুপনের সাত বছর কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ৫২ কোটি টাকা করে জরিমানা করে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৮–এর বিচারক বদরুল আলম ভূঁইয়া এ রায় ঘোষণা করেন।

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার মামলাটি ২০১৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর র‌্যাব-৩-এর পরিদর্শক (শহর ও যান) আবুল বাশার সূত্রাপুর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর দুপুরে র‍্যাব-৩ ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালনা কালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মতিঝিল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে অবৈধ ক্যাসিনো খেলা পরিচালানাকারীদের অন্যতম সক্রিয় সদস্য রুপন ভূঁইয়ার বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত প্রচুর অবৈধ অর্থ ও স্বর্ণালংকার উদ্ধারের জন্য সূত্রাপুর থানাধীন বানিয়ার মুরগিটোলা রুপন ভূঁইয়ার বাড়ি ঘেরাও করে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ১৭ লাখ ১৬ হাজার ৩০০ টাকা এবং বাসার সিন্ধুকের ভেতর থেকে ৫ কেজি ১৬৩ গ্রাস স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়, যার বাজার মূল্য আড়াই কোটি

আরও বলা হয়, ২০১৯ সালের ২৯ সেপ্টেম্বরের ৫/৬ বছর আগে থেকে এনামুল হক এনু এবং তার ভাই রুপন ভূঁইয়া অন্যান্য আসামিদের সহায়তায় মতিঝিল ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ওয়ান-টেন জুয়া খেলা শুরু করে। রুপন ভূঁইয়া অপর আসামিদের সহায়তায় অবৈধ ক্যাসিনো ব্যবসা থেকে উপার্জিত সংঘবদ্ধ অপরাধলব্ধ আয়ের অবৈধ প্রকৃতি, উৎস, অবস্থান, মালিকানা ও নিয়ন্ত্রণ গোপন বা ছদ্মাবৃত্ত করার অপরাধ করেন যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২-এর ৪(২) ধারা এর মধ্যে পড়ে।

২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত