দেশের শিক্ষাখাত ও শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খুবই নাজুক: ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ
অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘দেশের শিক্ষাখাত ও শিক্ষাব্যবস্থার অবস্থা খুবই নাজুক। স্বল্পসময়ে এ খাতের তেমন সংস্কার করা সম্ভব নয়। আর তিনমাস কাজ করে কিছুই করা সম্ভব নয়। এ জন্য সংস্কার কমিশন করেও খুব একটা লাভ নেই। এটা আমার মতামত। আমি এটা বলেছিও। ’
আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিকল্পনা কমিশনে শিক্ষা বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন এডুকেশন রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশের (ইরাব) প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘শিক্ষাব্যবস্থা একটা দেশে নষ্ট হতে অনেক সময় লাগে। এটা একটা সাইকেল (চক্র)। প্রাইমারি স্কুল খারাপ হলে, মাধ্যমিকেও খারাপ হবে। তারা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে তারাই তো আবার শিক্ষক হবে, পড়াবে। এভাবে পর্যায়ক্রমে শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ’
আরও পড়ুন:
রাজধানীতে কিশোরীসহ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার
ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘বাংলাদেশে শিক্ষাব্যবস্থা প্রথম খারাপ হয় ১৯৭২ সালে। বঙ্গবন্ধুর সময়ে শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন ইউসুফ আলী। তার একটা প্রচণ্ড ভুল সিদ্ধান্ত ছিল। সেটা হলো- ভালো যে কলেজগুলো ছিল, নামকরা কলেজ যাকে বলে; বিএম কলেজ, ঢাকা কলেজ, মুরারীচাঁদ কলেজ, রাজশাহী কলেজ; প্রথমে এগুলোকে ইউনিভার্সিটি কলেজ বানিয়ে দিয়েছিল। এরপর পলিটিক্যালি সব কলেজগুলোকে জাতীয়করণ করা হলো। জাতীয়করণ না করলেও ব্যক্তি উদ্যোগে গ্রামে গ্রামে কলেজ গড়ে তোলা হলো, অনুমোদন নেওয়া হলো। এভাবে গড়ে উঠলো আজকের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখন এ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করা শিক্ষার্থীরাই সবচেয়ে বেশি বেকার।’
শিক্ষাখাতের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষা প্রশাসনের দুর্নীতি একদিনে সমাধান করা সম্ভব না। আমি মন্ত্রণালয়ে একবার বলেছি, সেটাকে দুর্নীতি মুক্ত করতে চাই। সেটি মন্ত্রণালয়ের সবাই শুনেছে, কিন্তু এই বার্তা শিক্ষার অধিদপ্তরগুলোতেও দিতে হবে। তারপর দুর্নীতির কোনো প্রমাণ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে একটি উদাহরণ তৈরি করতে হবে।’
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ইরাব সভাপতি ফারুক হোসাইন, সাধারণ সম্পাদক সোলাইমান সালমান, ইরাবের সাবেক সভাপতি সাব্বির নেওয়াজ, নিজামুল হক, শরীফুল আলম সুমনসহ সংগঠনটির নেতারা ও সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।