সাবেক মন্ত্রী নওফেল ও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের আয়কর নথি জব্দের নির্দেশ
সাবেক বিদুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও তার স্ত্রী সীমা হামিদ এবং সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান নওফেলের আয়কর নথি জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ রবিবার ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসাইন গালিব এ আদেশ দেন।
দুদকের উপপরিচালক কমলেশ মন্ডল নথি জব্দের এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন।
বিপু ও তার স্ত্রীর আবেদনে বলা হয়, সীমা হামিদ তার নামে অর্জিত মোট সম্পদের মধ্যে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অসৎ উদ্দেশ্য অসাধু উপায়ে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখে এবং নিজ নামে ২০টি ব্যাংক হিসাবে মোট ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৮৬ হাজার ৬৯৯ টাকা জমা ও ১১ কোটি ১৮ লাখ ৪৯ হাজার ৮১৮ টাকা উত্তোলনের অস্বাভাবিক ও সন্দেহজনক লেনদেন নিয়ে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্য তা হস্তান্তর, স্থানান্তর ও রুপান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশনের দন্ডবিধি ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ
নসরুল হামিদ বিপু দায়িত্ব পালন কালে অসৎ উদ্দেশ্য ক্ষমতা অপব্যবহার করে প্রভাব ও আর্থিক সহায়তায় তার স্ত্রী সীমা হামিদের নামে জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ ৬ কোটি ৯৮ লাখ ৫৪ হাজার ৯৬৪ টাকার সম্পদ অর্জন করতে সহায়তা করেন। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাদের আয়কর নথি জব্দ করা প্রয়োজন৷
নওফেলের আবেদনে বলা হয়, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ওরফে নওফেল অসৎ উদ্দেশ্য অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ২ কোটি ২৭ লাখ ৫৯ হাজার ৩০৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন। তা ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ ও ৪১টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ১১৩ কোটি ৮৯ লাখ ৪৩ হাজার ৬২৮ টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ দুর্নীতি ও ঘুষ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্য তা রুপান্তর বা স্থানান্তর করে দুর্নীতি দমন আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এমতাবস্থায় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির আসামির আয়কর নথি জব্দের আদেশ হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি