শীতকালে ঘাম কীসের লক্ষণ?
গরমকালে খানিকটা পরিশ্রম করলেই শরীর ঘামে। কিন্তু শীতকালেও যদি ঘামেন? এটা কি স্বাভাবিক? এই শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে তাকে বলে হাইপারহাইড্রোসিস। এই রোগের রয়েছে অনেক প্রকারভেদ। ফোকাল হাইপারহাইড্রোসিস- এক্ষেত্রে মূলত হাত, পায়ের পাতা, বগলের অংশ তীব্র ভাবে ঘামতে থাকে। এছাড়াও রয়েছে প্রাইমারি হাইপারহাইড্রোসিস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই হাইপারহাইড্রোসিসের কোনও নির্দিষ্ট কারণ জানা যায় না।
তবে শুধুই যে হাইপারহাইড্রোসিসের কারণেই শীতকালে কিংবা তেমন গরম না থাকলেও আপনি প্রচণ্ড ঘেমে যাবেন, তা কিন্তু নয়। এই শারীরিক অস্বস্তির আরও একাধিক কারণ রয়েছে। জেনে নিন সেই কারণগুলো।
আপনার শরীরে কোনও সংক্রমণ থাকলে তার প্রভাবেও আপনি শীতের দিনে প্রবল ঘামতে পারেন। টিবি রোগ হলে, অনেকসময় রোগীকে আচমকা তেমন গরম আবহাওয়া না থাকলেও প্রবল ঘামতে দেখা যায়।
যদি কারও অ্যাংজাইটির সমস্যা থাকে তাহলেও আচমকা এই ঘেমে যাওয়ার সমস্যা দেখা যায়। অ্যাংজাইটির সমস্যা থাকলে অল্পেই আপনি উদ্বিগ্ন হয়ে পড়বেন। হতে পারে প্যানিক অ্যাটাকও। আর এইসব লক্ষণ দেখা দিলে আপনি স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি পরিমাণে ঘামতে পারেন।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকেও অসময়ে প্রচুর ঘামতে পারে। এছাড়াও কারও হৃদযন্ত্রের সমস্যা থাকলে, হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোক হয়ে যাওয়ার আগেও এইভাবে ঘামতে দেখা যায় রোগীকে। তাই এরকম লক্ষণ দেখা দিলে একেবারেই অবহেলা করবেন না।
শরীরে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি হলে, কেউ স্থূলতার শিকার হলে অর্থাৎ আপনার শরীরে ওবিসিটি থাকলে আপনি শীতেও প্রবল ঘামতে পারেন। তাই ওজন কমিয়ে শরীর থেকে অতিরিক্ত মেদ অর্থাৎ ফ্যাট ঝরিয়ে ফেলার চেষ্টা করুন। এর ফলে সার্বিকভাবেই সুস্থ থাকবেন আপনি।
অনেকে সারাবছর বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেয়ে থাকেন। এইসব ওষুধের প্রভাবে অনেকক্ষেত্রেই শরীরের ভিতরে জ্বালাপোড়া অনুভূত হয়। কিংবা শীতকালেও বা তুলনায় ঠাণ্ডার দিনেও খুব গরম লাগতে পারে। এরকম পরিস্থিতি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
পার্কিনসন রোগে যেমন মানুষের প্রায় সর্বক্ষণই হাত-পা কাঁপতে থাকে, তেমনই অসময়ে প্রচণ্ড ঘামের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।