স্কুল সভাপতির পদ দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

রাজশাহী ব্যুরো
০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২০:৪৮
শেয়ার :
স্কুল সভাপতির পদ দখল নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮

রাজশাহীর বাঘায় স্কুল কমিটির সভাপতি পদ নিয়ে দ্বন্দ্বে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ৮ জন আহত হয়েছেন। আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাউসা ইউনিয়নের আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সংঘর্ষ হয়।

জানা যায়, উপজেলা আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি পদের জন্য লিখিতভাবে প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমানের কাছে আবেদন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ পক্ষের প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল। অপরদিকে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জল পক্ষ থেকে আবেদন করেন বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রভাষক আনোয়ার হোসেন পলাশ। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে চাপা উত্তেজনা চলছিল।

আজ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ পক্ষের বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীরা ৫০-৬০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় যান। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন ৮ জন।

আহতরা হলেন তেথুলিয়া গ্রামের আবদুস সাত্তারের ছেলে জাফর হোসেন (৪০), আড়পাড়া গ্রামের গাজিউর রহমানের ছেলে বাবু হোসেন (৩৮), মানিক হোসেনের ছেলে রোহান হোসেন (২৩), মুনসাদ আলীর ছেলে মানিক হোসেন (৪৫), মকবুল হোসেনের ছেলে লিখন হোসেন (২২), হেদাতিপাড়া গ্রামের তফের আলীর ছেলে রফিকুল ইসলাম (৩৮), আবুল হোসেনের ছেলে এনামুল হক (৩৬) ও মাঝপাড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে রানা হোসেন (১৮)।

আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে রফিকুল ইসলাম ও মানিক হোসেনের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনায় সভাপতি প্রার্থী প্রভাষক আনোয়ার হোসেন পলাশ ও প্রভাষক ওয়ালিউর রহমান বিকুল একে অপরকে দোষারোপ করছেন।

আড়পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, ‘উভয়ের বাড়ি আড়পাড়া গ্রামে। তারা দুজন একই দল করেন। তারা শিক্ষকতা করেন দুই প্রতিষ্ঠানে। তারা সভাপতি পদের জন্য আমার কাছে আবেদন করেছেন। যাচাই-বাছাই করে যাকে দিয়ে প্রতিষ্ঠান ভালোভাবে পরিচালিত হবে, তাকে সভাপতি নির্বাচন করা হবে। এর আগে তারা মারামারি করল, এখন আমার কী করার আছে!’

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফম আসাদুজ্জামান বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’