গুদাম দখল করলেন যুবদল নেতা, বিচার চাইলেন ঢাবিছাত্র

ঢাবি প্রতিবেদক
২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২:০২
শেয়ার :
গুদাম দখল করলেন যুবদল নেতা, বিচার চাইলেন ঢাবিছাত্র

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে দুটি গুদাম দখল করার অভিযোগ উঠেছে মো. মোমিনুর রহমার মমিন নামের এক যুবদল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মনির উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গুদাম পুনরুদ্ধার ও অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী মো. মাহিন উদ্দিন বোরহান।

আজ বুধবার বিকেল ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের এই ছাত্র। মাহিনের বাড়ি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নে।

লিখিত বক্তব্যে মাহিন বলেন, ‘দলের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের দুটি গোডাউন জমিসহ দখল করে নেন যুবদল নেতা মমিন। তিনি যুবদল ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সহায়তায় ২০১৯ সালে বিক্রি করা জমি গোডাউনসহ দখল করেন। মমিন ও তার ভাই মিলন ২০১৯ সালে আমার দুই চাচা আব্দুল ওয়াহাব ও আবু রায়হানের কাছে জমি বিক্রি করেন। বিগত ৫ বছর ধরে আমার দুই চাচা সেই জমিতে গোডাউন উঠিয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল রেখে আসছিলেন।’

ঢাবির এই শিক্ষার্থী বলেন, ‘মমিন বিভিন্ন সময়ে বিক্রিত জমির ওপর চাঁদা দাবি করতেন। সর্বশেষ, বিক্রিত জমির ওপর ৫ লাখ টাকা দাবি করেন, টাকা না পেয়ে গত ২৯ নভেম্বর দেশীয় লাঠি, রামদা, হকিস্টিক সহকারে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে গোডাউনে রক্ষিত মালামাল লুটপাট করে এবং গোডাউন ঘর দখলে নিয়ে নেন। এ সময় আমার এক বোনকে রামদার কোপে মাথায় জখম করেন।’

মাহিন বলেন, হামলার নেতৃত্ব মমিন নিজেই দেন। লোকবল যোগান দেন কাপাসিয়া ইউনিয়ন বিএনপি কর্মী জিয়া, চন্ডিপুর ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন, যুবদল কর্মী সোহেল, ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা ফয়যার। দিবালোকের এ ঘটনায়, হামলা এবং দখলের সমস্ত ঘটনার ভিডিও ফুটেজ রয়েছে।

এ ঘটনায় থানায় মামলা করে মমিনের পরিবার। মামলা নম্বর জিআর ৩২০/২০২৪। গত ২২ ডিসেম্বর মমিন জামিন নিতে আদালতে গেলে, আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলে পাঠান।

মাহিন বলেন, ‘আমরা জেনেছি, দখল করা গোডাউনে মমিন ইউনিয়ন যুবদল অফিস দেওয়ার পায়তারা করছেন এবং পাশের জমিতে আমাদের মাদ্রাসা ও এতিমখানা দখলের পায়তারা করছেন। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এসব কাজে ইন্ধন দিচ্ছেন মমিন, জিয়া এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ড যুবদল নেতা ফয়জার।’

তিনি বলেন, দিবালোকের মতো পরিষ্কার সব কিছুর ভিডিও ফুটেজ থাকা সত্ত্বেও দলীয়ভাবে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নিচ্ছে না। গোডাউনের সমস্ত দলিল, ডকুমেন্টস রয়েছে।

তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘মমিন জেলে যাওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিনিয়ত আমার পরিবারকে হুমকি দিচ্ছিল- হাত, পা কেটে দিবেন। জানি না, জেল থেকে বেরিয়ে কি করবেন। দলের নাম ভাঙিয়ে অন্যের করা ব্যক্তির বিরুদ্ধে যেখানে কেন্দ্র হতে বিএনপির শক্ত অবস্থান। সেখানে স্থানীয় এসব নেতার দাপটে আমার পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে।’

এ সময় তিনি বিএনপির হাই কমান্ডের কাছে গুদাম দুটি ফিরিয়ে দেওয়া এবং মমিনের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থাগ্রহণের দাবি জানান।