পিএসএ প্লান্ট পরিদর্শন করলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থিত প্রেসার সুইং অ্যাডসোর্পশন (পিএসএ) প্লান্ট পরিদর্শন করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ডা. সায়েদুর রহমান। আজ বুধবার এই প্লান্ট পরিদর্শন করেছেন তিনি।
এটি বাংলাদেশের ২৯টি হাসপাতালের একটি, যেখানে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থাকে সহায়তা করার লক্ষে ইউএনওপিএস তাদের অংশীদার কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি), ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ হেলথ সার্ভিসেস (ডিজিএইচএস), ন্যাশনাল ম্যালেরিয়া নির্মূল প্রোগ্রাম (এনএমইপি) এবং গ্লোবাল ফান্ড টু ফাইট এইডস, টিউবারকিউলোসিস অ্যান্ড ম্যালেরিয়ার অর্থায়নে অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণ করছে।
এই পরিদর্শন সরকারের সকল নাগরিকের জন্য টেকসই ও সহজলভ্য স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে স্বাস্থ্যখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি করার অঙ্গীকারকে তুলে ধরে।
পরিদর্শনকালে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান পিএসএ প্লান্টের কার্যক্রম, মেডিকেল-গ্রেড অক্সিজেন উৎপাদনের ক্ষমতা এবং এর ভবিষ্যৎ কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন। পিএসএ প্লান্টটি স্থানীয় স্বাস্থ্যসেবার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং মহামারি প্রস্তুতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। এই উদ্যোগটি দেশের ৮২ লাখেরও বেশি মানুষের জীবনকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এখন পর্যন্ত ২৯টির মধ্যে ২৭টি পিএসএ অক্সিজেন প্লান্ট নির্মাণ সম্পন্ন করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি দুটি প্লান্ট চলতি বছরের শেষ নাগাদ হস্তান্তর করা হবে।
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে বক্তৃতা প্রদানকালে অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই প্রযুক্তিকে দেশব্যাপী বিস্তৃত করার লক্ষ্য নিয়েছি, যা স্বাস্থ্য অবকাঠামো শক্তিশালী করার একটি টেকসই সমাধান হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে রোগীদের জন্য আরও ভালো সেবা নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাইরের অক্সিজেন উৎসের উপর নির্ভরশীলতা কমানো সম্ভব হবে।’
অন্য এক মন্তব্যে তিনি পিএসএ প্লান্টের একীভূত ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, ‘এর উচ্চমান ও সম্ভাবনা আমাকে আশাবাদী করেছে। এটি ব্যয়-সাশ্রয়ী হলেও অত্যন্ত কার্যকর প্রযুক্তি, যা হাসপাতালের সক্ষমতা বাড়াতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’
পরিদর্শনের সময় তিনি সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের সঙ্গে আলোচনায় অংশ নেন এবং উৎপাদন সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার রূপরেখা পর্যালোচনা করেন।