বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে কবীর সুমনের উদ্যোগ

বিনোদন প্রতিবেদক
০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪:১৯
শেয়ার :
বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক উন্নয়নে কবীর সুমনের উদ্যোগ

বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে বরাবরই সরব পশ্চিমবঙ্গের কিংবদন্তি গায়ক ও লেখক কবীর সুমন। দেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর যেমন কথা বলেছেন সমস্যা ও সমাধান নিয়ে, তেমনি সোচ্চার ভারতের মিথ্যা ও উসকানিমূলক কথাবার্তার প্রসঙ্গেও।

এদিকে, বাংলাদেশ-ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই আগামীকাল সোমবার ঢাকায় আসছেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিসরি। একদিনের এই সফর সংক্ষিপ্ত হলেও, সফরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষকরা। এর মাঝেই দুই বাংলার মানুষদের মধ্যে মুক্ত সংলাপ এবং সম্প্রীতি তৈরির লক্ষ্যে ‘শান্তিসেতু’ নিয়ে এসেছেন ওপার বাংলার জনপ্রিয় এই সংগীতশিল্পী ও সাবেক লোকসভা সদস্য।

এক ফেসবুকবার্তায় কবীর সুমন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্কে একটা অকাম্য উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে একাধিক বিষয়ে পারস্পরিক দোষারোপ। আমাদের এই দুটি দেশই সরাসরি প্রতিবেশী। জীবনের এমন কোনো ক্ষেত্র নেই, যেখানে এই দুটি দেশের বিবিধ দৈনন্দিন অভ্যেস ও সংস্কৃতি এক নয়। সবচেয়ে যা উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ভাষা এক, যদিও বাংলাদেশে ও পশ্চিমবঙ্গে অন্য ভাষাভাষী মানুষও থাকেন। বছরের মৌসুমগুলোর প্রকৃতি দুই দেশে অভিন্ন। এসব সত্ত্বেও অল্পেই আমরা এ ওর ব্যাপারে উত্তেজিত হয়ে পড়ি, কখনো কখনো এ ওকে সন্দেহ করি, এমনকি ভয় পাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি ভারতের নাগরিক, বয়স ছিয়াত্তর চলছে। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের একাধিক বার্তা সংস্থা ও সংবাদমাধ্যম যে ধরনের অর্ধসত্য ও মিথ্যে খবর দিয়ে চলেছেন, তাতে ভয় হয় যে বাংলাদেশের মানুষজন আমাদের ভুল বুঝছেন ও ভুল বুঝবেন। তেমনি বাংলাদেশ সম্পর্কেও আমার দেশের অনেকের কিছু ভুল ধারণা আছে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে গেলে প্রথমত দরকার দুই দেশের মানুষদের মধ্যে মুক্ত সংলাপ এবং সম্প্রীতি। সেই লক্ষ্যেই আমরা তৈরি করে নিয়েছি “শান্তিসেতু”। এখানে দুই দেশের মানুষ খোলা মনে যে যার বক্তব্য রাখতে পারবেন।’

‘শান্তিসেতু’র একটা বড় কাজ হচ্ছে মিথ্যে খবরগুলোকে চিহ্নিত করা এবং আসল কথাগুলো সকলের সামনে তুলে ধরা উল্লেখ করে কবীর সুমন বলেন, ‘এ ছাড়াও দুই দেশের জনগণের মধ্যে আত্মিক লেনদেনের, ভাবনা ও ভাব বিনিময়ের আরও অনেক দিক ক্রমশ খুলে যেতে বাধ্য। এগুলো আমরা ক্রমশ দেখতে পাব।’