বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় শিবিরের নিন্দা
ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির।
আজ সোমবার এক বার্তায় ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর সম্পর্ক পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও আস্থার ভিত্তিতে হওয়া উচিত। একটি কূটনৈতিক মিশন আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সুরক্ষিত। সেখানে এই ধরনের হামলা কেবল আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক সম্পর্কের জন্য হুমকি নয়, বরং দুই প্রতিবেশী দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের ওপরেও বিরূপ প্রভাব ফেলে। এ ঘটনা কেবল আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে ব্যাহত করবে না; বরং উগ্রবাদ ও সহিংসতার বিস্তারকেও উৎসাহিত করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুত হামলাকারীদের চিহ্নিত করে শাস্তি নিশ্চিত এবং মিশনের নিরাপত্তা জোরদার করা হোক। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।’
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সকলের প্রতি ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের মাধ্যমে জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতন ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে সোমবার বিক্ষোভ সমাবেশ ডাকে ওই সমিতি। আগরতলার সার্কিট হাউস অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।
এক পর্যায়ে সমিতির বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন। ঘটনার প্রেক্ষিতে ভারত সরকার ইতোমধ্যেই দুঃখ প্রকাশ করেছে।