আদালতের ভেতরে কামরুলের ছেলের কাজ কী, ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা

অনলাইন ডেস্ক
১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১২:০৩
শেয়ার :
আদালতের ভেতরে কামরুলের ছেলের কাজ কী, ক্ষুব্ধ আইনজীবীরা

রাজধানীর নিউমার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী কামরুল ইসলামের রিমান্ড শুনানি চলাকালে আদালতের এজলাসের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তার ছেলে ডা. তানজির ইসলাম অদিত। এ ঘটনায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আজ মঙ্গলবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, এদিন সকাল ৯টার দিকে গ্রেপ্তার কামরুলকে ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হয়। এ সময় কামরুল ইসলামের ছেলে ডা. তানজির ইসলাম অদিতকে আদালতের এজলাস কক্ষের পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় কয়েকজন আইনজীবী তার ছেলেকে উদ্দেশ করে বলতে থাকেন, আদালতের ভেতরে তার (কামরুলের ছেলে) কাজ কী? তিনি এখানে কেন? তার উপস্থিতি নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি হলে তিনি বেরিয়ে যান।

এরপর ডিবি পুলিশের চাওয়া ১০ দিনের রিমান্ড আবেদনের শুনানি শুরু হয়। এ সময় আসামিপক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তার আট দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। 

এর আগে গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বিকেল ৫টায় নিউমার্কেটের ১ নম্বর গেটের সামনে গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ। এ ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। 

নিহত ব্যবসায়ীর শ্যালক আব্দুর রহমান বাদী হয়ে গত ২১ আগস্ট নিউমার্কেট থানায় এ মামলা করেন।

কামরুল ইসলাম ২০০৮ সাধারণ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনের জন্য আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেন এবং নির্বাচনে জয়ী হন। ২০১৪ সালে তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আবার সংসদ সদস্য হন। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আবারও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। 

তিনি ২০০৮ থেকে ২০১৪ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৪ থেকে তিনি খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য।