ভাঙ্গায় অগ্নিদগ্ধে আহত দুই শিশুর মৃত্যু
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায় অবুঝ দুটি শিশু (চাচা ভাতিজা) টয়লেটে ঢুকেও শেষ রক্ষা পেল না দুই শিশু। সেখানেই দগ্ধ হয়ে পড়ে রইলো তাদের দেহ। অগ্নিকাণ্ড দেখে বাঁচতে এরা দুইজনই দৌড়ে টয়লেটের ভিতরে আশ্রয় নেয়। বিধি বাম! সেখানেই আগুনের লেলিহানে দগ্ধ হয়ে শরীরের ৯০% পুড়ে যায়। মুমূর্ষ অবস্থায় তাদের দুজনকে ঢাকায় বার্ন হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সন্ধ্যার পরে দুজনই মারা যান।
এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের রশিবপুর গ্রামে।
নিহতরা হলেন রশিবপুরা গ্রামের সিদ্দিক মুন্সির ছেলে ইসমাইল মুন্সী(৪) ও তার নাতি ইয়াসিন মুন্সী(৩) এরা চাচা ভাতিজা। দুই শিশুর নিহতের ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
আরও পড়ুন:
ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু
এ ঘটনায় ঘারুয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনসুর আহমেদ মুন্সী জানান, আজ রবিবার দুপুরে সিদ্দিক মুন্সীর রান্নাঘরে হঠাৎ আগুন ধরে যায়। সেখানে তার স্ত্রী ছিল না। এ সময় আগুন দেখে শিশু দুজন ইসমাইল ও ইয়াসিন দৌড়ে টয়লেটে আশ্রয় নেয়। তখন রান্নাঘরের আগুন নেভাতে এলাকাবাসী ব্যস্ত থাকেন। রান্না ঘরের পাশেই ছিল টয়লেট। সেদিকে কারো খেয়াল ছিল না, সকলে অন্যান্য বসতঘর বাঁচাতে রান্নাঘরের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। টয়লেটটি ছিল টিনের বেড়ার তৈরি। ততক্ষণে আগুনের লেলিহানে টয়লেটের ভেতরে থাকা শিশু দুজন ঝলসে যায়। আগুন নেভানের পরে এলাকাবাসীর নজরে এলে দেখে যে, শিশু দুটি ভেতরেই অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। তখন তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গা হাসপাতলে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হলে সাথে সাথে তাদের ঢাকার বার্নইউনিট হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ রবিবার সন্ধ্যার পরে ইসমাইল মারা যায় এবং তার দুই ঘন্টা পর ইয়াসিনও মারা যায়।
চেয়ারম্যান মনসুর মুন্সি আরও জানান, আমার বাড়ি এই রসিবপুরা গ্রামে এমন ফুটফুটে দুটি শিশুর মৃত্যুতে আমরা গ্রামবাসী শোকাহত।
এদিকে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানান, ইসমাইল নামের শিশুর শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়, এবং ইয়াসিন নামের শিশুটির ৭০% দগ্ধ হয়।