‘আগে দেশকে বাঁচাতে হবে’, জামিন শুনানিতে বিচারক
ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি এখন রাজধানী ছেয়ে গেছে, এ সব মামলায় এখন কোনভাবেই জামিন হবে না, আগে দেশকে বাঁচাতে হবে। আজ মঙ্গলবার ছিনতাই, চুরি, ডাকাতির মামলার জামিন আবেদনের শুনানিকালে ঢাকার অতিরিক্ত মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান আইনজীবীদের এ কথা বলেন।
জামিন শুনানিকালে দেখা যায়, নোয়াখালী জেলার সদর থানার খলিশ টোলা এলাকার বাসিন্দা বোরহান, যিনি রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার চুরির মামলার এজাহারের ১০ নম্বর আসামি। গত ৭ অক্টোবর থেকে তিনি কারাগারে রয়েছেন। আজ মামলায় আইনজীবী আবুল বাসার মো. নাসিম এ আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন। এভাবে একই থানার চুরির মামলার আসামি মো. সোহাগের, ছিনতাইয়ের মামলার মো. সোহেল, আলম ব্যাপারী, আলমগীর হোসেন, মাহাজারুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম ও মোস্তফা কামালের ডাকাতির মামলায় মো. সুজনের এবং তেজগাঁও থানার ডাকাতির মামলায় মো. মোতাহার হোসেনের আইনজীবীরা জামিনের আবেদন করেন।
শুনানিতে আইনজীবীরা জামিন দেওয়া পক্ষে বিচারকেকে নানা যুক্তি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করেন। কিন্তু বিচারক বলেন, ‘যে যাই বলেন, আপাতত ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজির মামলায় জামিন হবে না। আপনারা নিজেরা বোঝার চেষ্টা করেন। এ সব অপরাধের এখন কি অবস্থা। আমরা দেশকে আরও বিপদের মধ্যে ঠেলে দিতে পারি না। আমাদের আগে দেশকে বাঁচাতে হবে। সকল আসামির জামিন নামঞ্জুর হবে।’
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজধানীতে ছিনতাই, ডাকাতি ও খুনখারাবি বেড়ে গেছে। এ জন্য তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। বিশেষ করে রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি ও খুনখারাবি বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্ত্রাসমুক্ত মোহাম্মদপুরের দাবিতে এলাকাবাসী গত ২৬ অক্টোবর বিকেলে মোহাম্মদপুর থানার সামনে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন। এমন অবস্থার জন্য তারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দায়ী করেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির দৃশ্যমান অগ্রগতির জন্য তারা পুলিশকে তিন দিনের সময় বেঁধে দেন। এরপর ওইদিন রাতেই যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৪৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন আরও ৩৪ জনকে গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
আরও পড়ুন:
চীনা অ্যাপের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব মানুষ