এক যুগ পর রংপুরে প্রকাশ্য সমাবেশ করল জামায়াত
দীর্ঘ একযুগ রংপুরে মহানগরীতে পর প্রকাশ্য সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের লগি-বৈঠার নৃশংসতার প্রতিবাদে রংপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামী এ সমাবেশের আয়োজন করে।
আজ সোমবার বিকেলে রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও রংপুর-দিনাজপুর অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল বলেন, ‘২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের শহীদদেরসহ সকল শহীদের রক্তের বিনিময়ে এদেশে একটি আর্দশ ইসলামী সমাজ গঠন করা হবে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের খুনিরা এদেশের হাজার হাজার ইসলাম প্রিয় সাধারণ মানুষের ওপর ফ্যাসিবাদী জুলুম নিপীড়ন চালিয়ে হত্যা করে পৈশাচিক রাজত্ব কায়েম করেছিল। আল্লাহ রাব্বুল আল আমীন ছাত্র-জনতার উর্মীমালায় তাদের দেশান্তরিত করে সকল অহংকার ভেঙে ফেলেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘লগি বৈঠার নৃশংস তাণ্ডবের মূল মাস্টারমাইন্ড খুনি শেখ হাসিনাসহ সকল খুনিদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে। জামায়াতে ইসলামী শান্তি প্রিয় ছাত্র-জনতাকে সঙ্গে নিয়ে সকল খুনিদের বিচারসহ এদেশে কোরআনের রাজত্ব কায়েম করবে ইনশাআল্লাহ। যে ক্ষমতার জোরে শেখ হাসিনা জামায়াতের দায়ের করা মামলাটি খারিজের ব্যবস্থা করেছিল। সেই মামলা আবার পুনরুজ্জীবিত করতে হবে। খুনি শেখ হাসিনাকে বিচারের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’
রংপুর মহানগর জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন- মহানগর সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা ওবায়দুল্লাহ সালাফী, জেলা সেক্রেটারি মাওলানা এনামুল হক, স্থলবন্দর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবুল হাশেম বাদল, শ্রমিক কল্যাণ মহানগর সভাপতি শরিফুল ইসলাম, জামায়াতের মহানগর সহকারী সেক্রেটারি ও কোতয়ালী থানা আমির আনোয়ারুল হক কাজল, প্রচার সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট কাওছার আলী, জেলা সহকারী সেক্রেটারি অধ্যাপক রায়হান সিরাজী, কর্ম পরিষদ সদস্য আল-আমিন হাসান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের মহানগর সভাপতি গোলাম জাকারিয়া, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সোহেল রানা প্রমুখ।
সমাবেশকে ঘিরে বেলা ২টার পর থেকে সমাবেশ স্থলের দিকে বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে আসতে থাকেন জামায়াতে ইসলামী ও ছাত্র শিবিরের নেতাকর্মীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাবলিক লাইব্রেরি মাঠ লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। বক্তব্যের মাঝে মধ্যে ইসলামী সংগীত পরিবেশন করা হয়। সমাবেশে দলীয় নেতারা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবর আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের লগি-বৈঠার নৃশংসতার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্যে দেন।
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের