আবু সাঈদ হত্যা মামলা /
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ ৯ জন বরখাস্ত
আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ও এজাহারনামীয় আসামি হওয়ায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ ৯ জনকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন। বেরোবির ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ সোমবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে এক সাংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শওকাত আলী এ কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সব ধরনের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
উপাচার্য বলেন, ‘গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুসন্ধান কমিটির প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিদ্ধান্তগুলো হলো- যে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিগগিরই মামলা দায়ের করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা আচরণবিধি ২০১৮, মোতাবেক জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যেসকল শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মস্থলে অনুপস্থিত তাদের ছুটি মঞ্জুর না করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক মশিউর রহমান, লোক প্রশাসন বিভাগের শিক্ষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আসাদ মণ্ডলসহ ৭ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ৭২ জন শিক্ষার্থী অভিযুক্ত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আচরণবিধি অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরমধ্যে যে সকল শিক্ষার্থী ছাত্রত্ব শেষ করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। যাদের ছাত্রত্ব আছে তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিয়ে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
উপাচার্য আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৮তম সিন্ডিকেট সভায় রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নৈতিক শৃঙ্খলার তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণ করার লক্ষ্যে ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য ও হল দখলকারী লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতি বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেজেটের ৪(ক) অনুযায়ী কোনো শিক্ষক ও কর্মকর্তা কর্মচারী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হতে পারবে না। এর আগে কেন হয়েছে তা আমাদের দেখতে হবে। কেউ যুক্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’