হাঁটাহাঁটিতে কমবে ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি: ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার
গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক ক্যানসার হাসপাতালের প্রকল্প সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার বলেছেন, একজন নারী প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটলে তার ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি ৫% কমে আসে। এলকোহল, ধুমপান ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ব্রেস্ট ফিডিং না করালে মায়ের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াবে। ঝুঁকি এড়াতে ২০-৬০ বছর বয়সে প্রতি মাসে একবার চেকাপ করাতে হবে৷
আজ সোমবার সকাল ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের আয়োজনে ব্রেস্ট ক্যানসার সচেতনতা বিষয়ক সেমিনারে প্রধান বক্তার আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার আরও বলেন, আমাদের দেশে হাসপাতালভিত্তিক ব্যবস্থায় ক্যানসার গবেষণা খুবই অপ্রতুল। হাসপাতালভিত্তিক ক্যানসার রেজিস্ট্রি থেকে জনগণের ক্যানসার আক্রান্তের হার নির্ণয় করা যায় না। আমাদের পপুলেশন বেইসড ক্যানসার রেজিস্ট্রার প্রয়োজন। নীতিনির্ধারকরা এটা এখনো করতে পারেননি। জনগণের মধ্যে সচেতনতাও অনেক কম।
আবার দেখা যাচ্ছে অতি মাত্রায় ফাস্টফুড গ্রহণ ব্রেস্ট ক্যানসারসহ কোলন ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়৷ লো ফাইভার খাবার গ্রহণ, কায়িক পরিশম না করলে এর ঝুঁকি বাড়ে৷ যত বেশি রেড মিট খাবেন, বডি সারফেস এরিয়া যত বাড়বে, ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি তত বাড়বে। সচেতনতা এখানে সবচেয়ে জরুরি, সঠিক সময়ে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
এর আগে, সকাল ৯ টায় পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের উদ্যোগে সচেতনতামূলক র্যালিতে র্যালিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। দিনব্যাপী আয়োজনের অংশ হিসেবে বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে একটি সচেতনতামূলক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
"No one Should Face Breast Cancer Alone" শীর্ষক এ সেমিনারে বক্তারা ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধে সকলের সচেতনতা বৃদ্ধির উপর গুরুত্বারোপ করেন৷ ব্রেস্ট ক্যানসার দ্রুত শনাক্ত করা ও পরিপূর্ণ চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সামাজিক ট্যাবু ভেঙ্গে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। দুপুর ১২ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে দিনব্যাপী ব্রেস্ট ক্যানসার স্ক্রিনিং ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল আহসান বলেন, ব্রেস্ট ক্যানসার বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে খুব বেশি আলোচিত হয়েছে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এর প্রাদুর্ভাব কমিয়ে আনা যায়। এর সঠিক প্রচার করতে পারলে, নারী সহধর্মিণী ও পরিবারের সদস্যদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পারলে আমরা এ সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবো বলে আশা রাখি।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক সোহেল আহমেদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) ড. মাহফুজুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক রাশিদুল আলম, আইইডিসিআর-এর উপদেষ্টা ড. মুশতাক হোসেন, পাবলিক হেলথ এন্ড ইনফরমেটিক্স বিভাগের সভাপতি ড. মাহফুজা মোবারক ও বিভাগের শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?