পরিচয় নিশ্চিত হতে তোলা হলো হারিছ চৌধুরীর মরদেহ
মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন কবরস্থান থেকে তার মরদেহ তোলা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরসহ প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা।
জানা যায়, হারিছ চৌধুরীর মরদেহ তোলার পর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হবে। এরপর তার ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ সিলেটে দাফন করা হবে।
আরও পড়ুন:
নিখোঁজের ২ দিন পর নদীতে ভেসে উঠল জেলের মরদেহ
এর আগে, হারিছ চৌধুরীর মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা তানজিম চৌধুরীর করা এক রিটের শুনানি শেষে গত ৫ সেপ্টেম্বর তার লাশ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
ওই আদেশের পরিপ্রেক্ষিতে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এস এম রাসেল ইসলাম নুরকে লাশ উত্তোলনের সময় উপস্থিত থেকে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণসহ ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট।
আরও পড়ুন:
ভারত সফরে গেলেন প্রধান বিচারপতি
তিন বছর আগে হারিছ চৌধুরীকে এই কবরস্থানে মাহমুদুর রহমান পরিচয়ে দাফন করা হয়।
হারিছ চৌধুরীর জানাজা পড়ানো মাওলানা আশিকুর রহমান কাশেমি বলেন, ‘আমরা অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান হিসেবে তার মরদেহ দাফন করি।’
মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আহমেদ মুঈদ বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন, রেজিস্টার্ড জেনারেলের কার্যালয়ের একজন প্রতিনিধি, জেলা পুলিশ, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাভার থানা পুলিশের উপস্থিততে মরদেহ তোলা হয়। এরপর মরদেহ চিহ্নিত করতে যা যা সংগ্রহ করা দরকার সেগুলো করা হবে। এরপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যাবে এটি হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কিনা। তিনি একজন মুক্তিযোদ্ধা। পরিবার তাকে রাষ্ট্রীয় যথাযথ সম্মান দেওয়ার দাবি করেছে। এ বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে। আর পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী তাকে দাফন করা হবে।