অব্যাহতি পেলেন ফখরুল, আমীর খসরু ও রিজভী
দীর্ঘদিন বাদী আদালতে না আসায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দায়ের করা মামলা খারিজ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও রুহুল কবীর রিজভীকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
এ বিষয়ে মামলার আসামিপক্ষের আইনজীবী বিএনপির আইনবিষয়ক সহসম্পাদক সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ‘২০১৮ সালে মামলা দায়ের করা হয়। বাদী ২০২২ সালের ৯ মে পর্যন্ত হাজিরা দেন। পরে ওই বছর ১৪ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত ২০টি তারিখ বাদী অনুপস্থিত রয়েছেন। তাই আজ (বুধবার) আমরা মামলা খারিজের আবেদন করি। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
২০১৮ সালের ৬ আগস্ট জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এ বি সিদ্দিকী আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। ঢাকার তৎকালীন মহানগর হাকিম এ এইচ এম তোয়াহা এই অভিযোগ তদন্ত করে তেজগাঁও থানার ওসিকে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে থানা তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দাখিল করেন।
২০১৮ সালের ৪ আগস্ট বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছেন। সেদিন তিনি কুমিল্লায় থাকা নওমী নামের এক কর্মীর সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি ওই কর্মীকে বলেছেন, ঢাকা এসে লোকজন নিয়ে নেমে পড়তে।
আরও পড়ুন:
পাল্টে যেতে পারে আন্দোলনের ধরন
মামলায় এ বি সিদ্দিকী দাবি করছেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও রুহুল কবীর রিজভীর হুকুমে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ছাত্রদলের কর্মীরা ঢুকে পড়েছে। ঢাকার জিগাতলায় ছাত্রদলের কর্মীরা আওয়ামী লীগের অফিসে হামলা করেছে। মিরপুরে মারপিট করেছে ছাত্রদল কর্মী। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন পরিবহনে আগুন দিয়েছে। ছাত্রী ধর্ষণ ও ছাত্রছাত্রী নিহত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ছাত্রদলের কর্মীদের ঢুকিয়ে দিয়ে এই তিন আসামি সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করেছেন।
