রিমান্ড শেষে সুলতান মনসুর ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর কারাগারে

আদালত প্রতিবেদক
০৫ অক্টোবর ২০২৪, ২১:৩৮
শেয়ার :
রিমান্ড শেষে সুলতান মনসুর ও সাবেক স্বরাষ্ট্র সচিব জাহাঙ্গীর কারাগারে

যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অন্যদিকে, রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় বৈষম্যবিরোধী কোটা আন্দোলনে কিশোর আবদুল মোতালিব নিহতের হত্যা মামলায় নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

সুলতান মনসুরের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময় কুমার বিশ্বাস ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভোরে কানাডা থেকে দেশে ফেরার পর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে মনসুর আহমেদকে হেফাজতে নেয় পুলিশ। ওইদিনই তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। 

২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ ডাকে। এই মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশ্যে পুলিশের সহায়তায় বিএনপির ঢাকার মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। এতে অনেক বিএনপির নেতাকর্মী আহত হন। যুবদল নেতা শামীম মারা যায়। এ ঘটনায় গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম ৫ দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালত হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। পাশাপাশি ডিভিশনের আবেদনও করেন। শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। আর কারাবিধি অনুযায়ী ডিভিশন দেওয়ার নির্দেশ দেন।

গত ১ অক্টোবর তার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরআগে, ওইদিন গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামের এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।