হলগুলোতে খাবারের মান বাড়ানো হবে: রাবি উপাচার্য

রাবি প্রতিনিধি
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৩:৪৭
শেয়ার :
হলগুলোতে খাবারের মান বাড়ানো হবে: রাবি উপাচার্য

হলগুলোতে খাবারের মান বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সালেহ্ হাসান নকীব। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া, অডিটোরিয়ামের ভাড়া পুনর্বিবেচনা ও শীঘ্রই সমাবর্তন অনুষ্ঠানের আশ্বাস দেন তিনি। আজ শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে রাজশাহীতে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

উপাচার্য বলেন, 'খাবারের মানের বিষয়টা আমাকে খুবই কষ্ট দেয়। হলগুলোতে শিক্ষার্থীদের দেওয়া খাবার আসলেই মিনিমাম পুষ্টিমান ফুলফিল করে না। এখানে ভর্তুকির প্রশ্ন এসেছে। কিন্তু আমাদের বাজেট থেকে কতটুকু ভর্তুকি দেওয়া সম্ভব, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তবে, এই বিষয়টাকে সামনে রেখে আগামী বাজেটে বাড়তি বরাদ্দ পেতে পারি কিনা, সেই চেষ্টা করে দেখতে পারি।'

রাকসু নির্বাচন বিষয়ে তিনি বলেন, 'এই সপ্তাহেই আমরা রাকসুর কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দিবো রাকসু নির্বাচন করতে গেলে কোষাধ্যক্ষের একটা বড় ভূমিকা থাকে। এজন্য তাকে গুছিয়ে নেওয়ার জন্য কিছুটা সময় দিতে হবে, যাতে রাকসু নির্বাচনটা একটা সুষ্ঠু মডেল নির্বাচন হয়।'

জনবল নিয়োগের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য আরও বলেন, ;দ্রুতই জনবল নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তবে, টাইমফ্রেমটা আমি বলতে পারবো না।'

অডিটোরিয়ামের ভাড়া কমানো ও এটার সংস্কারে দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, 'দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তের ক্ষেত্রে বর্তমান প্রশাসন সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। আর অডিটোরিয়ামের ভাড়ার বিষয়টা আমার কাছেও দৃষ্টিকটু মনে হয়। এই ভাড়াটা সিন্ডিকেট কর্তৃক নির্ধারিত হয়েছিল। সবাই চাইলে আবারও সিন্ডিকেটে এ বিষয়ে আমরা আলোচনা করবো।'

এছাড়া, ভর্তি পরীক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ, ছাত্রী হলের সান্ধ্য আইন, নতুন বিভাগ খোলা ও সমাবর্তনসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশ্নের জবাব দেন উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ হাসান নকীব।

ভর্তি পরীক্ষার বিকেন্দ্রীকরণ বিষয়ে তিনি বলেন, 'ইউজিসি হয়তো পুরো বিষয়টাকে নিয়ে আবার চিন্তাভাবনা করবে। এই মুহূর্তে এই বিষয়টা নিয়ে ইউজিসির নির্দেশনার জন্য আমাদের কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।'

ছাত্রী হলের সান্ধ্য আইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এটার সমাধানের সবচেয়ে সুন্দর উপায় হলো ছাত্র সংসদ। হলগুলোতে ছাত্র সংসদ থাকলে, ছাত্র প্রতিনিধিরা হল প্রশাসনের সঙ্গে বসে সহজেই এটার সমাধান করে ফেলতে পারতেন। শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতায় অপ্রয়োজনীয় কোনো হস্তক্ষেপ করা যাবেনা।'

নতুন বিভাগ খোলার বিষয়ে উপাচার্য আরও বলেন, 'আমার ব্যক্তিগত ইচ্ছা হলো, পূর্ণ প্রস্তুতি না নিয়ে বা মিনিমাম রিকোয়ারমেন্ট ফুলফিল না করে কোনো নতুন বিভাগ না খোলা।'মতবিনিময় সভায় রাজশাহী জেলায় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. শেখ সা'দ আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, ছাত্র উপদেষ্টা ড. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।