পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে আইএলও কনভেনশন অনুসাক্ষরের তাগিদ
পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সরকারকে আইএলও কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ অনুস্বাক্ষর করার তাগিদ দিয়েছেন পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য বা ওশ বিশেষজ্ঞরা। এ লক্ষ্যে কি কি সীমাবদ্ধতা আছে তা চিহ্নিত করে একটি রোডম্যাপ ও কর্মকৌশল প্রণয়নের তাগিদও দিয়েছেন তারা। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
রাজধানীর একটি হোটেলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অর্থায়নে সলিডার সুইসের কারিগরী সহযোগিতায় ওশি ফাউন্ডেশনের বাস্তবায়ন করা ‘বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ প্রকল্পের উদ্যোগে ফান্ডামেন্টাল কনভেনশনস অন অকুপেশনাল সেইফটি অ্যান্ড হেলথ (ওশ) শীর্ষক কর্মশালায় আলোচকরা এমন মন্তব্য করেন। শ্রম সংক্রান্ত যেকোনো উদ্যোগে সরকার, মালিক, শ্রমিক ত্রিপক্ষীয় উদ্যোগের নেয়ার তাগিদ দেন আলোচকরা।
ওশি ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সাকি রেজওয়ানার সঞ্চালনায় কি নোট পেপার উপস্থাপন করেন পেশাগত স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এ কে এম মাসুম উল ইসলাম। তিনি জানান, বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১০টি মৌলিক কনভেনশনের মধ্যে ৮টি অনুস্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ। পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আইএলও কনভেনশন ১৫৫ ও ১৮৭ অনুস্বাক্ষর করলে তা হবে শ্রমিক অধিকারের প্রতি সরকারের সংহতি ও সহমর্মিতা প্রকাশ। কর্মশালার বিশেষ অতিথি ও প্যানেল আলোচক, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর সেইফটি ইউনিটের যুগ্ম মহাপরিদর্শক শিউলি আকতার জানান, পেশাগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতনতা তৈরিতে প্রশিক্ষণ ও আইনের সংশোধনে সরকার আন্তরিক।
ওশি ফাউন্ডেশনের পরিচালক ও বিল্ডিং এ সাসটেইনেবল লেদার সেক্টর ইন বাংলাদেশ প্রকল্পের প্রধান আলম হোসেন জানান, সচেতনতা বৃদ্ধি ও ওশ কনভেনশন অনুসাক্ষরে রোডম্যাপ তৈরিতে অংশীজনদের মাঝে সম্পৃক্তরা বাড়াতে ভূমিকা রাখবে এমন কর্মশালা।
কর্মশালায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের মালিক, শ্রমিক প্রতিনিধি, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, পেশাগত স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা অংশ নেন।