ছানি অপারেশনের পর আপনার যা করণীয়

বিজ্ঞাপন

Mobile_Article-01

চোখের ছানি বলতে লেন্স অস্বচ্ছ হওয়াকেই বুঝায়। বয়স বাড়লে, আঘাত লাগলে, চোখে অন্য কোনো প্রদাহ হলে, ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপ হলে, দীর্ঘদিন চোখে কোনো ড্রপ দিলে চোখে ছানি পড়তে পারে। ছানি তিন ধরনের হয়Ñ নিউক্লিয়ার, কর্টিক্যাল ও সাব ক্যাপসুলার।

ছানির চিকিৎসা : অপারেশনই ছানির একমাত্র চিকিৎসা। ওষুধ বা চশমা দিয়ে ছানির চিকিৎসা সম্ভব নয়। ছানি অপারেশনে চোখের ভেতরের অস্বচ্ছ লেন্স বের করে সেই স্থানে কৃত্রিম লেন্স বসাতে হয়। বিভিন্নভাবে ছানির অপারেশন করা হয়ে থাকে। যেমন- ফ্যাকো সার্জারি (সেলাইবিহীন ছানি অপারেশন) ও প্রচলিত ছানি অপারেশন (সেলাইযুক্ত)।

ফ্যাকো সার্জারি : চোখে কৃত্রিম লেন্স বসাতে ছানি গলিয়ে বের করে আনা হয়। এ অপারেশনে ফ্যাকো সার্জারি চিকিৎসাবিজ্ঞানের আশীর্বাদ। তুলনামূলক বিচার করলে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যায়। ফ্যাকো অপারেশনের মাধ্যমে লেন্স গলিয়ে বের করা হয়। এ পদ্ধতিতে রক্তক্ষরণ হয় না। আড়াই থেকে তিন মিলিমিটার ছিদ্র করা হয়। সেলাইয়ের প্রয়োজন হয় না। অপারেশনের সঙ্গে সঙ্গে রোগী বাড়ি যেতে পারেন। এ অপারেশনের পর সাতদিন চোখে পানি না ব্যবহার করলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন।

ফ্যাকো সার্জারি : সেলাইবিহীন। দ্রুত সেরে ওঠা সম্ভব। ৩-৪ দিনের মধ্যে স্বাভাবিক কাজকর্ম করা যায় (গাড়ি চালানো, লেখাপড়া করা, টিভি দেখা, অফিস করা)। দীর্ঘদিন ভর্তি থাকতে হয় না। অপারেশনের পর বাসায় চলে যাওয়া যায়। যেসব রোগী সহযোগিতা করতে পারেন, তাদের শুধু ড্রপের মাধ্যমে অপারেশন করা হয়। ইনজেকশন না দিলে এবং ডাক্তার উপযুক্ত মনে করলে অপারেশনের পর চোখে ব্যান্ডেজ না দিয়ে বাড়ি পাঠাতে পারেন। জটিলতা হওয়ার আশঙ্কা নেই। অপারেশনের পরপর স্বাভাবিক খাবার খেতে পারবেন।

আরও পড়ুন:

শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন

অপারেশন করতে করণীয় : চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ অপারেশন করার উপদেশ দিলে অপারেশনের আগে ৩-৪টি পরীক্ষা করতে হবে। যেমন- ডায়াবেটিসের জন্য ব্লাড সুগার, ইসিজি, চোখে যে লেন্স বসানো হবে তার মাপের জন্য বায়োমেট্রিক, চোখের প্রেসার পরীক্ষা ও করোনাকালীন করোনার টেস্ট করাতে হবে।

ফোল্ডেবল লেন্স : এটি লেন্সের সর্বশেষ সংস্করণ। এটি নরম, ভাঁজ করা যায়। এ লেন্সের ক্ষেত্রে মাত্র ২.৫-৩ মিমি. কাটতে হয়। এ ক্ষেত্রে অপারেশনের পর লেন্সের পেছনে অস্বচ্ছ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। চোখ দ্রুত সেরে ওঠে।

সাধারণ লেন্স : ঝওঈঝ পদ্ধতিতে সাধারণ প্রচলিত লেন্স (চগগঅ)। এ লেন্স শক্ত, ভাঁজ করা যায় না। এটির ক্ষেত্রে ৫.৫ মিলিমিটার কাটতে হয়। অপারেশনের পর লেন্স অস্বচ্ছ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ইনজেকশনের মাধ্যমে অবশ করতে হয়। স্বল্পপরিমাণ রক্তক্ষরণের আশঙ্কা থাকে।