বাদ আসর জানাজা, বনানীতে সমাহিত হবেন জুয়েল
জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান নির্মাতা হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল আর নেই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা ৫৩ মিনিটে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। শিল্পীর মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার স্ত্রী সঙ্গীতা আহমেদ।
শিল্পীর মেজ ভাই মহিবুর রেজা রুবেল বলেন, ‘আজ বাদ আসর জুয়েলের জানাজা হবে গুলশানের আজাদ মসজিদে। সন্ধ্যার পর বনানী কবরস্থানে হবে দাফন। তবে সময়ের একটু হেরফের হতে পারে।’
দীর্ঘদিন ধরে লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন জুয়েল। গেল ২৩ জুলাই শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে তাকে নেওয়া হয় লাইফসাপোর্টে। গেল দু’দিন অবস্থার উন্নতির কথাই জানাচ্ছিলেন চিকিৎসকরা। কিন্তু আজ মঙ্গলবার এলো দুঃসংবাদ। জুয়েলের এমন অকাল প্রস্থানে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোক নেমে এসেছে।
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
উল্লেখ্য, নব্বই দশকে ব্যতিক্রমী কণ্ঠ নিয়ে শ্রোতাদের সামনে হাজির হন হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল। ব্যাংকার বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলায় তাকে থাকতে হয়েছিল দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ১৯৮৬ সালে ঢাকায় চলে আসেন জুয়েল। এসেই তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি কেন্দ্রিক সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক তৎপরতায় জড়িয়ে পড়েন। তখনই বিভিন্ন মিডিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ ঘটতে শুরু করে।
আইয়ুব বাচ্চুর সুরে তার প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯৩ সালে। প্রথম অ্যালবামেই বাজিমাত করেন জুয়েল। এরপর একে একে প্রকাশিত হয় ‘এক বিকেলে’ (১৯৯৪), ‘আমার আছে অন্ধকার’ (১৯৯৫), ‘একটা মানুষ’ (১৯৯৬), ‘দেখা হবে না’ (১৯৯৭), ‘বেশি কিছু নয়’ (১৯৯৮), ‘বেদনা শুধুই বেদনা’ (১৯৯৯), ‘ফিরতি পথে’ (২০০৩), ‘দরজা খোলা বাড়ি’ (২০০৯) এবং ‘এমন কেন হলো’ (২০১৭)। এছাড়াও বেশ কিছু সিঙ্গেল ও মিশ্র অ্যালবামে গেয়েছেন জুয়েল।
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি সর্বাধিক পরিচিত হলেও তার আরও একটি বড় পরিচয় টেলিভিশন অনুষ্ঠান ও তথ্যচিত্র নির্মাতা হিসেবে। পাশাপাশি সঞ্চালনাও করেছেন বহু অনুষ্ঠান।