দিল্লির রাস্তায় তিলোত্তমার ভয়ংকর অভিজ্ঞতা
ভারতের দিল্লি শহরে নারীদের নিরাপত্তা কতটুকু? এ প্রশ্ন নিয়ে প্রায়ই আলোচনা-সমালোচনা হয়। এবারও সেই শহরের রাস্তাতেই ভয়ানকভাবে হেনস্তার শিকার হলেন অভিনেত্রী তিলোত্তমা সোম। তার এ ঘটনায় এই শহরের নিরাপত্তা নিয়ে আবারও প্রশ্ন উঠেছে।
এ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিলোত্তমা জানান, এক সন্ধ্যায় বাসের জন্য অপেক্ষা করছিলেন তিনি। দুর্ভাগ্যবশত, কোনও বাস পাচ্ছিলেন না তিনি। এদিকে অন্ধকার গাঢ় হতে থাকে। হঠাৎ একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায় তার সামনে। গাড়ি থেকে ছয়জন পুরুষ নেমে আসেন। নিরাপত্তার জন্য স্বাভাবিকভাবেই তাদের থেকে নিজেকে কিছুটা দূরে সরিয়ে নেন তিলোত্তমা।
অভিনেত্রী বলেন, ‘এরপরেই আমাকে মৌখিকভাবে হেনস্তা করতে শুরু করে ওরা। ওদের মধ্যে একজন পাথরও ছোড়ে। আরও একটু দূরে সরে যাই আমি। বুঝতে পারি, এখান থেকে দ্রুত আমাকে চলে যেতে হবে। কিন্তু ছুটে পালালে ওরা আমার পিছু নেবে।’
তখন বাধ্য হয়েই রাস্তার বেশ খানিকটা মাঝে এসে দাঁড়ান তিলোত্তমা। কিন্তু কোনো গাড়িই দাঁড়াচ্ছিল না। অবশেষে দেখেন, একটি গাড়ি এসে দাঁড়িয়েছে। গাড়ির সামনের আসনে গিয়েই বসেন তিনি। কিন্তু বুঝতে পারেননি, তার জন্য আরও বিপদ অপেক্ষা করছে।
বাঙালি অভিনেত্রীর ভাষায়, ‘কিছুটা দূরে এগিয়ে যাওয়ার পরই গাড়ির চালকের আসনে বসে থাকা সেই ব্যক্তি আমার হাত আঁকড়ে ধরে। তারপরেই নিজের প্যান্টের চেন খুলে ফেলে সে। আমি বুঝতে পারি, আমার সঙ্গে কী হতে চলেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি অজান্তেই লোকটিকে মেরে দিই। কীভাবে মারি, আমার মনে নেই। কিন্তু লোকটি গাড়ি থামাতে বাধ্য হয়। নিজেই আমাকে গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলে সে।’
এ যাত্রায় কোনও রকমে বাঁচলেও সেই ঘটনায় একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলেন বাঙালি এ অভিনেত্রী।
মীরা নায়ারের ‘মনসুন ওয়েডিং’ সিনেমায় তিলোত্তমার অভিষেক। এছারাও ‘শ্যাডোজ অব টাইম’, ‘তাসের দেশ’, ‘সাংহাই’, ‘লাস্ট স্টোরিজ ২’, ‘দ্য ফ্যাবল’-এর মতো আলোচিত সিনেমায় দেখা গেছে তাকে।
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি