কান্না থামাতে পারছিলাম না: আবুল হায়াত
কোটা সংস্কারের দাবিতে গেল দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে আন্দোলন করছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এই আন্দোলন ঘিরে শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষের মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। চলমান নৈরাজ্য-সহিংসতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসছে। ক্রমে স্বাভাবিক হয়ে আসছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতিও। গেল মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে দুষ্কৃতকারীদের নাশকতা ও সহিংসতার কারণে দেশজুড়ে অস্থিরতা সৃষ্টি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত শুক্রবার মধ্যরাতে কারফিউ জারি করে সরকার। এরপর বিদ্যমান পরিস্থিতির উন্নতি এবং জনজীবনে স্বস্তি ফিরে আসতে থাকে। কারফিউও ক্রমে শিথিল করা হচ্ছে। বন্ধ থাকা ইন্টারনেটও চালু হয়েছে স্বল্প পরিসরে।
এদিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও দেশে ঘটে যাওয়া ধ্বংসাত্মক সহিংসতায় উদ্বিগ্ন গোটা দেশবাসী। উদ্বিগ্ন শোবিজ অঙ্গনের তারকারাও। আন্দোলন ঘিরে ঘটে যাওয়া সহিংসতা ও অসংখ্য মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকাহত প্রবীণ অভিনেতা আবুল হায়াত।
আরও পড়ুন:
স্ত্রীর কবরের পাশে পরীর নানা সমাহিত
সম্প্রতি দেশের একটি গণমাধ্যমকে আবুল হায়াত বলেন, ‘আমি খুব মর্মাহত। বৃহস্পতিবার আমি অনেক কেঁদেছি। মৃত্যুর খবরে আমার কান্না থামাতে পারছিলাম না। বাচ্চাগুলোর একটার পর একটা মৃত্যুর খবর আসছিল, কিছুতেই কান্না আটকে রাখতে পারিনি। আমি অসুস্থ, এখন বেশির ভাগ সময় বাসায় থাকি, কোথাও বের হই না- আমি তো ভাবতেই পারি না, ছোট ছোট বাচ্চাগুলোর সঙ্গে এমনটা হতে পারে! আমাদের পুলিশ বাহিনী তাদের সামনে দাঁড়ানো কাউকে এভাবে মারবে, এটা কল্পনারও অতীত।’
আরও পড়ুন:
ওটিটি প্ল্যাটফরম আমার জন্য বেশ লাকি
যোগ করে আবুল হায়াত আরো বলেন, ‘আমাদের বিল্ডিংয়ের একটি ফ্ল্যাটের একটা ছেলে মারা গেছে, ফারহান ফাইয়াজ। ওর মা-বাবা এবং আমরা একই বিল্ডিংয়ে থাকি। পুরো পরিস্থিতি নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। সরকার অনেক দেরি করে ফেলেছে। যেটা এক দিনে সমাধান সম্ভব ছিল, সেটা তারা অনেক সময় নিয়ে করল- কষ্টটা এখানেই লাগে। সেই একই সমাধানে তো এল তারা, যেটা বলেছিল সম্ভব না, সেটাই তো তারা এক দিনের ব্যবধানে করল! সুতরাং এটা সেদিনই সম্ভব ছিল, প্রথম দিন না হলে দ্বিতীয় দিনে সম্ভব হতো। এ জন্যই বলি, সময়ের এক ফোঁড় অসময়ের দশ ফোঁড়। অনেক কষ্ট পেয়েছি। আমি এমন মৃত্যু কোনোভাবেই মেনে নিতে পারিনি।’
আরও পড়ুন:
নানাকে নিয়ে পরীর আবেগঘন পোস্ট