ঢাবির রোকেয়া হলকে ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বেগম রোকেয়া হলকে সব ধরনের রাজনীতি মুক্ত রাখার সিদ্ধান্তের একটি অঙ্গীকারনামা স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
আজ মঙ্গলবার দিবাগত রাত দেড়টায় হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। লিখিত অঙ্গীকারনামায় হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. নিলুফার পারভীন সই করেন। তবে ওই সই ড. নিলুফার পারভীনের কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
অঙ্গীকারনামায় শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা রোকেয়া হলের মেয়েরা আজ এই মর্মে লিখিত নিচ্ছি যে, আজ ১৭-০৭-২০২৪ তারিখ থেকে থেকেয়া হলের অভ্যন্তরে কোনও ধরনের ছাত্র রাজনীতি (ছাত্রলীগ, ছাত্রদল, যুবদল, জামাত-শিবির ইত্যাদি) নিষিদ্ধ করা হলো। কোনও ধরনের পলিটিক্যাল রুম বা গণরুম থাকবে না, কোনো পলিটিক্যাল প্রোগ্রাম হলে হবে না, কোনো ধরনের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা হলের সাথে থাকবে না।

তারা আরও বলেন, আমরা হলের মেয়েরা যদি এসব দলের দ্বারা কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হই, তাহলে এই দায় প্রশাসন ও হল প্রভোস্টকে নিতে হবে। আজ থেকে রোকেয়া হলকে ছাত্র রাজনীতি মুক্ত ঘোষণা করা হলো।
এরআগে এদিন রাতে রোকেয়া হলের ছাত্রলীগের সভাপতি পৃথা এবং সাধারণ সম্পাদক আতিকাকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে হল থেকে বের করে দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
এক ভিডিওতে দেখা যায়, সাধারণ শিক্ষার্থীরা সভাপতি পৃথা এবং সম্পাদক আতিকাকে ধরে নিয়ে হলের গেট থেকে বের করে দিয়েছে।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
কোটা সংস্কারের দাবিতে গতকাল মঙ্গলবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশ এবং ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকদের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকার সায়েন্সল্যাব ও ঢাকা কলেজ এলাকায় দুজন, চট্টগ্রামের মুরাদপুরে তিনজন এবং রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) একজনের মৃত্যু হয়।
এ ছাড়া রাজধানীসহ সারাদেশে আহত হয়েছেন আরও প্রায় সাড়ে তিনশ। আগের দিন সোমবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে উত্তাল হয়ে উঠে সারা দেশ। একই দিন বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেয় ছাত্রলীগও। পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি চলাকালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চট্টগ্রামের দুজন এবং রংপুরের এক শিক্ষার্থীর বুকে গুলি লাগার খবর পাওয়া গেছে।