আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা জবি শিক্ষক সমিতির
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ কর্মবিরতি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। আজ রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে দুপুর ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন শিক্ষকরা।
এ সময় শিক্ষকরা জানান, সরকারের মুখপাত্রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, কিন্ত সমস্যা সমাধান হয়নি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান বলেন, ‘আমাদের আন্দোলন প্রত্যয় স্কিম থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাদ দেয়ার আন্দোলন। আমাদের স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোর দাবি আমাদের আজও পূরণ হয়নি। আমাদের দাবি যৌক্তিক দাবি। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা ও গবেষণার বাতিঘর। এদিকে গুরুত্ব দিলে দেশ এগোবে না। যত চাপ আসুক আমরা আমাদের যৌক্তিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আমরা আমাদের শিক্ষাকে বাঁচাতে চাই, দেশকে বাঁচাতে চাই। প্রথম সারি যদি বসেও যায়, দ্বিতীয় সারি দাঁড়িয়ে যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন সহযোগী অধ্যাপক খ্রিস্টীন রিচার্ডসন বলেন, ‘কাল অনেক জায়গায় দেখলাম আলোচনা নাকি সন্তোষজনক হয়েছে। কিন্ত কোথায় আলোচনা সন্তোষজনক হয়েছে তা জানি না। সংবিধান অনুযায়ী কাউকে একবার কোনো সুবিধা দেওয়া হলে সেটা আর কমানো যায় না। এটা হাইকোর্টে একটি কেসের রায়েও প্রতিষ্ঠিত। সংবিধানে পজিটিভ ডিসক্রিমেশনের কথা বলা হয়েছে কিন্ত আমাদের সাথে উলটো ডিসক্রিমেশন করা হচ্ছে। আমাদের তিনটা দাবি পরিষ্কার। যতক্ষণ দাবি পুরন না হচ্ছে আমরা আন্দোলন করে যাবো।’
জবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. শেখ মাশরিক হাসান বলেন, ‘গতকাল মিটিংয়ে আমাদের দাবির ব্যাপারে শিক্ষকরা সেখানে বলেছেন। ফলাফলে শিক্ষকরা আশ্বস্ত নয়। ফলে যতদিন না আমাদের দাবি বাস্তবায়িত না হচ্ছে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সঙ্গে আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। সব বিশ্ববিদ্যালয় একইরকম আন্দোলন করবে। আলোচনা ও আন্দোলন চলবে।’
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
জবি শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মমিন উদ্দীন বলেন, ‘আলোচনার দ্বারা সমস্যা সমাধানের দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, কিন্ত সমাধান হয়নি। আমরা “প্রত্যয়” স্কিমে থাকব না। যদি সরকার সব সরকারি পেশাজীবিদের জন্য পেনশন স্কিম চালু করে তখন আমরা থাকব, তবে সেটা “প্রত্যয়” স্কিমে নয়। আমরা ফেডারেশনের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী আন্দোলনের সিদ্ধান্ত জানাবো। ফেডারেশনকে আমরা জানিয়েছি, তিনটি দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন থামানো যাবে না।’