রেলওয়ের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক
১৪ জুলাই ২০২৪, ১৬:৪৯
শেয়ার :
রেলওয়ের ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট

বাংলাদেশ রেলওয়ের সব ধরনের চাকরির নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আজ রবিবার বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. রোকনুজজামান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।

এর আগে, গত ২৬ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে রিটটি দায়ের করেন আইনজীবী রোকনুজজামান। রিটে রেল সচিব ও আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

রিট আবেদনে বলা হয়, উদ্দেশ্যমূলকভাবে বাংলাদেশ রেলওয়ে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা নির্ধারণ করে বিধিমালা প্রণয়ন করে। তারা তাদের নিজেদের স্বার্থে উক্ত বিধিমালায় বিষয়টি উল্লেখ করে। যা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ৪ জুলাই কোটা বাতিল সংক্রান্ত পরিপত্র ও সংবিধানের ২৭, ২৯ ও ৩১ অনুচ্ছেদের পরিপন্থি।

রিটকারী আইনজীবী জানান, যারা বাংলাদেশ রেলওয়েতে চাকরি করছেন তাদের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখা হয়েছে। উক্ত কোটা বণ্টনের ফলে সমাজের নিম্ন শ্রেণির তথা দিনমজুর, শ্রমিক, রিক্সাচালক, কৃষকের সরকারি চাকরি প্রত্যাশী সন্তানদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হবে। যা তাদেরকে প্রজাতন্ত্রের কর্মে নিয়োগ লাভের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে। কোটা বাতিলের বিষয়ে সঠিক প্রতিকার না পেলে দরখাস্তকারীসহ লাখ লাখ শিক্ষিত বেকার যুবক চাকরি থেকে বঞ্চিত হবে।

আইনজীবী রোকনুজজামান বলেন, ‘সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোনো কোটাই থাকছে না বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি বাংলাদেশ রেলওয়ের ক্ষেত্রে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। যা বাংলাদেশ সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সে কারণে একজন সচেতন নাগরিক এবং একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হিসেবে আমি রিট দায়ের করেছি।’

ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রেলওয়ের নিয়োগে ৪০ শতাংশ পোষ্য কোটা রাখার বিধান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।