দেশকে ভারতের করদ রাজ্যে পরিণত করা হচ্ছে: ১২ দলীয় জোট
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেশটির সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি হয়েছে তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য করদ রাজ্যে পরিণত করবে বলে মন্তব্য করেছেন ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা।
আজ সোমবার চট্টগ্রাম মহানগরের জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দারের নেতৃত্বে লিফলেট বিতরণ শেষে নেতারা সংক্ষিপ্ত পথসভায় এ কথা বলেন।
রিয়াজ উদ্দিন বাজারের ৩ পোলের মাথার সামনে গোলাম রসূল মার্কেট থেকে এ লিফলেট বিতরণ করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আপনাদের নিশ্চয়ই ১৯৭২ সালে ভারতের সঙ্গে স্বাক্ষরিত ২৫ বছরের গোলামী চুক্তির কথা স্মরণ আছে। আজ অবৈধ ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্য ৫২ বছর পর শেখ হাসিনা গত ২২ জুন ভারতের সঙ্গে সমঝোতার আড়ালে যেসব চুক্তি করছে তা বাংলাদেশকে আজীবনের জন্য করদ রাজ্যে পরিণত করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণ্ণ রাখতে আরেকটি যুদ্ধের মাধ্যমে রক্ত দিয়ে হলেও এই ধরণের গোলামী চুক্তি প্রতিহত করা হবে।’ ভারতীয় সরকারের সীমাহীন আগ্রাসন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে হত্যার রাজনীতিতে অবৈধ হস্তক্ষেপ, শোষণ, সীমান্তে হত্যা, ৫৪টি অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করার প্রতিবাদে জনগণকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আহ্বান জানান মোস্তফা জামাল হায়দার।
শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, ‘বিগত ১৬ বছরে সীমান্তে ১২০০ এর অধিক নিরীহ নাগরিককে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। ফেলানীর লাশ যখন সীমান্তে ঝুলে থাকে তখন মনে হয় সমগ্র বাংলাদেশ আজকে কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে আছে।’
নেতারা বলেন, ‘যদি বন্ধু হও, যদি আমাদের প্রতিবেশী হও, তাহলে সীমান্তে অহরহ গুলি কেন? তাই আজকে বাংলার জনগণ, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রের জন্য লড়াই শুরু করেছে।’
আরও পড়ুন:
সাকিবকে নিয়ে যা বললেন ওবায়দুল কাদের
লিফলেট বিতরণ কর্মসূচিতে আরও অংশ নেন জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়াতে ওলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মুফতি গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা'র) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন পারভেজ, ইসলামী ঐক্য জোটের মহাসচিব মাওলানা আব্দুল করিম, বাংলাদেশ ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেমসহ জোটের কেন্দ্রীয় ও মহানগরের নেতারা।