ভাতা পাবেন আরও ১০ লাখ মানুষ
সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় আসছেন আরও ৯ লাখ ৮১ হাজার ৬১ জন। নতুন করে ৫ লাখ প্রতিবন্ধী ভাতা, এক লাখ ৫০ হাজার ৪৮০ জনের মাতৃত্বকালীন ভাতা, দুই লাখ বয়স্ক ভাতা, দুই লাখ বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা, পাঁচ হাজার ৭৪৯ তৃতীয় লিঙ্গ ও ৯০ হাজার ৮৩২ জন সমাজের অন্য অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে ভাতার আওতায় আনা হবে।
গতকাল জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বক্তৃতায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এ তথ্য জানান। বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তামূলক কার্যক্রমের জন্য এক লাখ ৩৬ হাজার ২৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চেয়ে ৯ হাজার ৭৫৪ কোটি টাকা বেশি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্তের সংখ্যা ২৯ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩২ লাখ ৩৪ হাজারে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তির হার বিদ্যমান ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০ টাকায় উন্নীত করা হবে। তিনি বলেন, গ্রামীণ এলাকায় মাতৃত্বকালীন ভাতা ও শহর এলাকার কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচি চালু করা হয়েছে। এ কর্মসূচির অধীনে মায়েদের ৩৬ মাস পর্যন্ত মাসিক ৮০০ টাকা করে দেওয়া হয়। এ ছাড়া আগামী অর্থবছরে মাতৃত্বকালীন উপকারভোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৪ হাজার ৮০০ জন থেকে ১৬ লাখ ৫৫ হাজার ২৮০ জনে উন্নীত করা হবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৫৮ লাখ এক হাজার প্রবীণের জন্য মাসিক ৬০০ টাকা হারে মোট চার হাজার ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় এবং ভাতাপ্রাপ্ত প্রবীণের সংখ্যা ৬০ লাখ এক হাজারে উন্নীত করা হবে। এ ছাড়া ভাতাপ্রাপ্ত বিধবা ও স্বামী নিগৃহীত নারীর সংখ্যা বিদ্যমান ২৫ লাখ ৭৫ হাজার জন থেকে বাড়িয়ে ২৭ লাখ ৭৫ হাজার জনে উন্নীত করা হবে। এ বাবদ এক হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বর্তমানে ভাতাপ্রাপ্ত ছয় হাজার ৮৮০ জন থেকে বাড়িয়ে ১২ হাজার ৬২৯ জনকে দেওয়া হবে। এ ছাড়া বেদে জনগোষ্ঠীর জন্য ভাতা কার্যক্রম চলমান থাকবে। আগামী অর্থবছরে সমাজের অনগ্রসর অন্য জনগোষ্ঠীর ৯০ হাজার ৮৩২ জনকে ভাতার আওতায় আনা হবে।