বিশেষ সময়ে বিশেষ বাজেট হয়নি
বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাজেট গতানুগতিক হয়েছে। বিশেষ সময়ে যে বিশেষ বাজেটের প্রয়োজন ছিল তা হয়নি। এখন সময়টা বাংলাদেশের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জের। প্রথমত ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির প্রভাব। দ্বিতীয়ত আমাদের ফরেন রিজার্ভ কমে যাচ্ছে। তৃতীয়ত জ্বালানি খাতে কোনো পলিসি নেই। প্রত্যেকটি একটার সঙ্গে অন্যটা জড়িত। এই বাজেটে তিনটি চ্যালেঞ্জের বিষয়ে খুব বেশি দিকনির্দেশনা নেই। এমনকি ব্যবসাবান্ধব কোনো অ্যাকশনও নেই। ব্যবসা যদি ভালো না হয়, কর্মসংস্থান বাড়বে কীভাবে? কর কীভাবে আদায় করবে? এতে এনবিআরের লক্ষ্য অর্জন হবে না।
সাবেক গভর্নর বলেন, মূল্যস্ফীতির জন্য আমদানি শুল্ক কমানোর কথা বলা হয়েছে, তবে তাতে খুব বেশি কাজ হবে না। এক বছরে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নিয়ে আসা সম্ভব হবে না। এর জন্য যেটা করতে হবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে উৎসাহিত করতে হবে। আর বাজার মনিটরিং বেশি জরুরি। তা ছাড়া বাজেটে বিনিয়োগ বাড়ানোর কথা বলেছে। ব্যবসার যে অবস্থা এবং সরকারের যে ধরনের নিয়মকানুন তাতে ব্যবসা বাড়বে কীভাবে। করপোরেট ট্যাক্স হয়তো কমাবে কিন্তু অন্যদিকে ক্যাপিটাল ট্যাক্স নিলে আবার অন্যান্য করও বাড়বে। দেশের যে অবস্থা তাতে ব্যবসার জন্য বিদেশি এফডিআই আসবে কিনা, সন্দেহ রয়েছে। এফডিআই না আসলে ফরেন রিজার্ভও বাড়বে না; আবার হুন্ডি ও মুদ্রাপাচারের কারণে রেমিট্যান্সও কমছে।
আরও পড়ুন:
কঠিন সময়ে চাপের বাজেট
সালেহউদ্দিন বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরের বিষয়েও কিছু বলা হয়নি। তাহলে কীভাবে আশা করব- রাজস্ব আদায় হবে। ১২০০-এর বেশি প্রকল্পের পরিকল্পনা করা হয়েছে। যার এখন প্রয়োজনই নেই। এখন প্রয়োজন অত্যাবশ্যকীয় কিছু ভৌত কাঠামো, এনার্জি সেক্টর এবং আইটি সেক্টরের। বাকি কোনো প্রকল্প নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এই সংখ্যা অর্ধেকে নামালেই ব্যাংকঋণ কিংবা বিদেশি ঋণের প্রয়োজন হচ্ছে না। এই সিদ্ধান্তগগুলো যদি শক্ত হাতে নেওয়া হতো তাহলে বলতে পারতাম বাজেট সুখী হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিশেষ সময়ে বিশেষ বাজেট হয়নি