‘মুনাফিকদের চিনে রেখেছি’, ভোটে হেরে আ. লীগ নেতার পোস্ট
পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে হারার ১২ দিন পর ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু বকর সিদ্দিক।
গতকাল রবিবার দিবাগত রাতে নিজের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে তিনি লেখেন, ‘নির্বাচনে যারা আমার সাথে বেইমানি ও মুনাফেকি কোরেছেন। তাদের আল্লাহ তায়ালা হেদায়েত দান করুক এবং সঠিক বুঝ বুঝার তৌফিক দান করুক। এবং আল্লাহর রহমতে মুনাফিকদের কে চিনে রেখেছি। সময় মত আল্লাহতাআলাই সমচিত জবাব দিবেন ইনশাআল্লাহ।’
উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মোশাররফ হোসেন ওই পোস্টের মন্তব্যে লেখেন, ‘জনপ্রতিনিধি হতে হলে সুখে দুঃখে জনগণের পাশে থাকতে হয়। নিজের ভুল ত্রুটিগুলো শুধরিয়ে সামনে এগিয়ে চলার চেষ্টা করুন।’
উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সালমা জাহান রাফি মন্তব্য করেন, ‘মিথ্যে বলে হাসানোর চেয়ে সত্যি বলে কাঁদানো ভালো।’
ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে আবু বকর সিদ্দিক মুঠোফোনে আমাদের সময়কে বলেন, ‘আমি নির্বাচনে হারার কোনো যৌক্তিক কারণ দেখি না। যাদের উদ্দেশে লিখেছি তারা বুঝতে পারছে। এটা সকল জনগণের উদ্দেশে বলা হয়নি। আমার সাথে যারা নোংরামি করেছে, তাদের উদ্দেশেই এ লেখা আমার।’
জানা যায়, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দশমিনা থেকে চেয়ারম্যান পদে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের এই নেতা। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল আজীজ ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন শওকতসহ কয়েকজন প্রার্থীদের বিপক্ষে ভোটযুদ্ধে নামেন তিনি। নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় এলাকায় বেশ সরব হয়ে উঠেছিলেন। গত ২১ মে দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটের ফলাফলে ৫ হাজার ২৫ ভোট পেয়ে পঞ্চম অবস্থানে ছিলেন এই প্রার্থী। নির্বাচনটিতে ১২ হাজার ১৪১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন টেলিফোন প্রতীকের মো. ইকবাল হোসেন।
এর আগেও চতুর্থ ও পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচন দুটিতে অংশ গ্রহণ করে উভয় নির্বাচনে পরাজিত হন আবু বকর সিদ্দিক।