প্রতিবন্ধী যুবককে লোহার পাইপ দিয়ে পেটালেন ছাত্রলীগ নেতা
নরসিংদীতে সোহেল মিয়া (৪০) নামের এক প্রতিবন্ধী যুবককে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা। আজ শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে জেলার চরমাধবদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু সদর উপজেলার পাঁচদোনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের আহব্বায়ক এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক। আহত বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এবং মৃগীরোগে আক্রান্ত সোহেল মিয়া সদর উপজেলার চর-মাধবদী এলাকার মৃত সাইদ মিয়ার ছেলে।
নরসিংদী সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, জরুরি বিভাগে রক্তাক্ত অবস্থায় শুয়ে আছেন সোহেল। পাশে তার মা রেজিয়া বেগম বারবার কান্নায় মূর্ছা যাচ্ছেন।
রেজিয়া বেগম বলেন, গত পরশুদিন স্থানীয় জাকির হোসেনের মুদী দোকানে যায় আমার ছেলে। এ সময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগ নেতা বাবুর বাবা প্রতিবেশী মোখলেছুর রহমানের সাথে বিস্কুট খাওয়া নিয়ে কথাকাটাকাটি হয় সোহেলের। পরবর্তীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর সমন্বয়ে বিষয়টি গতকাল নিরসন করা হয়। এর পরও গতকাল সোহেলের মামা বাবুল মোল্লাকে মারধর করেন বাবু।
আজ সকালে আমার প্রতিবন্ধী ছেলে বাজারে গেলে সাধারণ মানুষের সামনে লোহার পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে কলা বাগানে তাকে ফেলে চলে যান ছাত্রীলীগ নেতা বাবু। আমার কাছে বাড়িতে খবর আসে আমার ছেলেকে মেরে কলা বাগানে ফেলে রাখা হয়েছে। প্রথমে ভেবেছি ও মনে হয় মারা গেছে। তার পুরো শরীরে আঘাতের দাগ। আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে নিয়ে এসেছি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাবুকে অনেক বার অনুরোধ করেছি, প্রতিবন্ধী পাগল ছেলেটাকে যেন না মারা হয়। কিন্তু কারও কথা শুনল না, ছেলেটাকে মেরে কলা বাগানে ফেলে চলে যান। আমারা এলাকার মানুষ তাকে কিছু বলতে পারি না, কথায় কথায় তিনি মানুষকে মারে।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা বাবু বলেন, আমার বাবা স্ট্রোকের রোগী। সোহেল আমার বাবাকে থাপ্পর মারাসহ ধাক্কা দিয়ে একাধিকবার ফেলে দিয়েছে, এছাড়াও এলাকার বহুলোককে তিনি মেরেছেন। আপনি ঘটনাস্থলে এসে বিস্তারিত খবর নিলেই বুঝতে পারবেন আসল ঘটনা কী ঘটেছিল।
মাধবদী থানার পাঁচদোনা পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইউছুফ আহমেদ জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত নন। এখনো পর্যন্ত কোনো লিখিত কিংবা মৌখিক অভিযোগ পাননি, পেলে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।