দাম্পত্য জীবনে প্রভাব ফেলছে মোবাইল আসক্তি, সমাধান যেভাবে
পরিবারের সকল সদস্যরা মোবাইলের নেশায় বুঁদ হচ্ছেন সকলেই। এতে পড়াশোনার যেমন ক্ষতি হচ্ছে, তেমনই আবার কাজের প্রতিও মনোযোগ কমছে। মোবাইলের দুনিয়া কেড়ে নিচ্ছে মুখোমুখি আলাপ, আড্ডার অবসর। সতর্ক না হলেই কিন্তু বিপদ! জীবন থেকে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব সরিয়ে সুস্থ জীবন যাপন করার চাবিকাঠি কিন্তু আমাদেরই হাতে। তবে এটি অত সোজা নয়। শুরু করতে হবে ধীরে ধীরে। আসুন জেনে নিই যেভাবে ডিজিটাল দুনিয়ার প্রভাব এড়াবেন :
ভাবার অভ্যাস তৈরি করুন
ডিজিটাল দুনিয়ার মোহে পড়ে আমরা নিজেকে নিয়ে আর ভাবি না। ভাবার সময় বার করতে হবে সবার আগে। মোবাইল দূরে সরিয়ে রোজ নির্দিষ্ট একটি সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন, ভাবনা চিন্তার পরিসর অনেক বেড়েছে।
সময় নির্বাচন
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
কতক্ষণ টিভি দেখবেন, কম্পিউটার চালাবেন আর ফোন ঘাঁটবেন, তার সময় বেঁধে নিন। চেষ্টা করুন ঘুম থেকে উঠেই ফোন থেকে অন্তত ঘণ্টাখানেক দূরে থাকার। চেষ্টা করুন অফিসের কাজ বাড়িতে নিয়ে না আসার। ঘুমানোর অন্তত ঘণ্টাখানেক আগে ফোন রেখে দিন। অবসর সময় বই পড়ুন, পরিবারের সঙ্গে কাটান, গান শুনুন। নিজের পুরনো শখগুলো নিয়ে আবার ভাবনাচিন্তা শুরু করুন।
অ্যাপ ছাঁটাই
দরকারি অ্যাপ ছাড়া বাকি অ্যাপগুলো ফোনে না রাখাই ভাল। এরপর দেখবেন, আর ফোনের দিকে তাকাতেও ইচ্ছে করবে না। কাজটা কঠিন হলেও করতে হবে। ‘ডায়েট’ শুরু করার সময় একটু কড়া হতেই হবে।
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
বন্ধু খুঁজুন
এই সময় আপনার একজন সঙ্গী দরকার। তাঁকে নিজের সমস্যার কথা খুলে বলুন। কোনো সময় ডিজিটাল দুনিয়ার প্রতি বেশি আসক্তি দেখালে তিনিই আপনাকে আটকাবেন। এই বন্ধু আপনার বাড়ির কোনো সদস্যও হতে পারেন। তাঁর সঙ্গে গল্প করে অনেকটাই সময় কাটাতে পারেন।
ফোন ব্যতীত ঘুরতে যান
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?
এখন ফোন ছাড়া চলা মুশকিল। রাস্তায় বেরোলে ফোনের প্রয়োজন পড়ে। তবে ঘুরতে গিয়ে একবার গন্তব্যে পৌঁছে গেলেই ফোন বন্ধ করে দিন। ওই ক’টা দিন শুধুই পরিবার, বন্ধুবান্ধব কিংবা সঙ্গীর জন্য বরাদ্দ রাখুন। পরিবেশের সান্নিধ্য উপভোগ করুন।