‘জলে বসে কুমিরের সাথে লড়াই করার ফল ভালো হয় না’
রাজবাড়ী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ডিলারকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, ‘জলে বসে কুমিরের সাথে লড়াই করার ফল ভালো হয় না।’
এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ডিলার মনোয়ার হোসেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, ইউনিয়ন পর্যায়ে হতদরিদ্রদের মধ্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় সরকার নির্ধারিত সূলভ মূল্যে কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য শস্য বিতরণে রাজবাড়ী সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামান ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেন অনিয়মের রাজত্ব গড়ে তুলেছেন। প্রতিটন চালে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামান ১০০ টাকা ও ডিলারের কাছে থাকা ৫০০ কার্ডের বিপরীতে প্রতি চালানে ১ হাজার ৫০০ টাকা দাবি করেন।
ডিলার মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘অনিয়মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামান নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা বলে পরিচয় দেন এবং ডিলারশিপ লাইসেন্স কেড়ে নেওয়ার হুমকি দেন। ব্যবসা করতে হলে তিনি যা বলবেন আমাকে তা মেনে নিতে হবে, অন্যথায় ব্যবসা বন্ধ করতে যা যা করার তাই করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় চাল বিতরণকালে অনিয়ম করায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে ২০২২ সালের ১৬ জুন রাজবাড়ী ১ নম্বর আমলী আদালতে একটি মামলা হয়, যা বর্তমানে হাইকোর্টে (হাইকোর্ট মামলা নম্বর ১৫০০৭৩১/২৪) চলমান।’
ডিলার মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘গত ১১ মার্চ উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তারিকুজ্জামানের কাছে ডিও (চাহিদাপত্র) আনতে গেলে তিনি ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাফায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য নানাভাবে চাপ দেন এবং হুমকি দিয়ে বলেন, ‘‘জলে বসে কুমিরের সাথে লড়াই করার ফল কোনো দিনই ভালো হয় না”।’
এ বিষয়ে রাজবাড়ী সদর উপজেলার খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (খাদ্য পরিদর্শক) শাফায়েত হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন ডিলার মনোয়ার। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।’
রাজবাড়ী জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো. আবু কাউছার বলেন, ‘একজন ডিলার অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’