ঢাবিতে বর্ষবরণের অনুষ্ঠান বিকেল ৫টার মধ্যে শেষ করতে নির্দেশনা
১৪ এপ্রিল দেশব্যাপী উদযাপিত হবে ‘বাংলা নববর্ষ-১৪৩১’–এর প্রথম দিন পহেলা বৈশাখ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রতিবছরের মতো এবারও মঙ্গল শোভাযাত্রা হবে। শোভাযাত্রার এবারের প্রতিপাদ্য ‘আমরা তো তিমিরবিনাশী’। এ বছর মঙ্গল শোভাযাত্রা চারুকলা অনুষদ থেকে সকাল ৯টায় বের করা হবে। শোভাযাত্রা শাহবাগ মোড় হয়ে শিশুপার্কের সামনে থেকে ঘুরে পুনরায় শাহবাগ হয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গিয়ে শেষ হবে।
এবারের বর্ষবরণের আয়োজন বিকেল পাঁচটার মধ্যে শেষ করতে বলেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে বিকেল পাঁচটার পর কোনোভাবেই প্রবেশ করা যাবে না, শুধু বের হওয়া যাবে। ওইদিন ক্যাম্পাসে ভুভুজিলা বাঁশি বাজানো ও বিক্রি করা যাবে না।
গতকাল রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা নববর্ষ-১৪৩১ উদ্যাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এই সভায় সভাপতিত্ব করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এতে কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো আরও হয়েছে, পহেলা বৈশাখে ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের মুখোশ পরা ও ব্যাগ বহন করা যাবে না। তবে চারুকলা অনুষদ কর্তৃক প্রস্তুতকৃত মুখোশ হাতে নিয়ে প্রদর্শন করা যাবে।
নববর্ষের আগের দিন ১৩ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার পর ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ছাড়া অন্য কোনো গাড়ি প্রবেশ করতে পারবে না। নববর্ষের দিন ক্যাম্পাসে কোনো ধরনের যানবাহন চালানো যাবে না এবং মোটরসাইকেল চালানো সম্পূর্ণ নিষেধ।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসবাসরত কোনো ব্যক্তি নিজস্ব গাড়ি নিয়ে যাতায়াতের জন্য শুধুমাত্র নীলক্ষেত মোড় সংলগ্ন গেট ও পলাশী মোড় সংলগ্ন গেট ব্যবহার করতে পারবেন। নববর্ষের দিন ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের সম্মুখস্থ রাজু ভাস্কর্যের পেছনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গেট বন্ধ থাকবে।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) সম্মুখে বিশ্ববিদ্যালয়ের হেল্প ডেস্ক, কন্ট্রোল রুম এবং অস্থায়ী মেডিকেল ক্যাম্প থাকবে। হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল মাঠ সংলগ্ন এলাকা, ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র সংলগ্ন এলাকা, দোয়েল চত্বরের আশেপাশের এলাকা ও কার্জন হল এলাকায় মোবাইল পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হবে।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!
সভায় নববর্ষের দিন নিরাপত্তার স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা ও আর্চওয়ে স্থাপন করে তা মনিটরিং করার জন্য পুলিশ কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদকে আহ্বায়ক করে ৯-সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এই কমিটির সদস্য-সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন।
বাংলা নববর্ষ উদযাপনের সভায়, কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়াও সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে নববর্ষ উদ্যাপনের লক্ষ্যে দুটি উপ-কমিটি গঠন করা হয়। এগুলো হচ্ছে-শৃঙ্খলা উপ-কমিটি ও মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটি। ১১-সদস্যবিশিষ্ট শৃঙ্খলা উপ-কমিটির আহ্বায়ক বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. মাকসুদুর রহমান এবং সদস্যসচিব সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. লিটন কুমার সাহা। ৩২-সদস্যবিশিষ্ট মঙ্গল শোভাযাত্রা উপ-কমিটির আহ্বায়ক চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন এবং সদস্যসচিব সহকারী প্রক্টর মো. নাজির হোসেন খান।