‘দক্ষ প্রগতিশীল নাগরিক গড়ে তোলাই হোক আমাদের অঙ্গীকার’

কূটনৈতিক প্রতিবেদক
১৮ মার্চ ২০২৪, ২১:৪৭
শেয়ার :
‘দক্ষ প্রগতিশীল নাগরিক গড়ে তোলাই হোক আমাদের অঙ্গীকার’

বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে শিশুদের দক্ষ, প্রগতিশীল ও ধর্মনিরপেক্ষ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলাই হবে আমাদের পারিবারিক ও সামাজিক সংকল্প। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন আয়োজিত শিশু কিশোর সমাবেশ ও আলোচনা অনুষ্ঠানে স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মো. সুফিউর রহমান এ কথা বলেন।

 রাষ্ট্রদূত সুফিউর রহমান বলেন, ‘বাঙ্গালী জাতিসত্তার বিকাশে ও বাঙ্গালীদের জন্য পৃথক একটি রাষ্ট্র গঠনের রূপকার ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি সাম্প্রদায়িকতামুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ সমাজ এবং বাংলা ভাষার সম্মান রক্ষার আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান বিধৃত করেন। বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনাবোধ, নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ে এবং বাঙালিদের সম্মান ও আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়ে অনড় অবস্থান তাকে সমকালীন অন্যান্য নেতা থেকে স্বতন্ত্র করেছিল। ফলশ্রুতিতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন নেতা মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু। বাঙালির সাংস্কৃতিক জাতিসত্তা সংরক্ষণে এবং এ জাতির জন্য পৃথক রাষ্ট্রের জন্য রাজনৈতিক আন্দোলনে যুগপৎ নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা হিসেবে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেন।’

মিশনের উপস্থায়ী প্রতিনিধি মিজ সঞ্চিতা হক আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শিশু দিবস পালনের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি আলোচনা অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর শিশুবৎসল দিকটি তুলে ধরেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে তিনজন প্রতিনিধিও বক্তব্য দেন।

দিবসটি পালন উপলক্ষে মিশন আয়োজিত অনুষ্ঠানমালার শুরুতে রাষ্ট্রদূত উপস্থিত শিশুদের সঙ্গে নিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো বাণী পাঠ করা হয় এবং একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। শিশু-কিশোর সমাবেশে বয়সভিত্তিক গ্রুপে চিত্রাঙ্কন ও বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ উপজীব্য করে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভা শেষে বিজয়ী ও অংশগ্রহণকারী সকল প্রতিযোগীকে পুরস্কৃত করা হয়। 

মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পরিবারের সদস্য, সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি এবং উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু-কিশোরের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠানটিকে আনন্দমুখর করে তোলে। শিশুরা কেক কেটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকী পালন করে। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের ইফতার ও নৈশভোজে করানো করা হয়।