জবি ছাত্রীর আত্মহত্যা /
সহকারী প্রক্টর ও সহপাঠীকে সাময়িক বহিষ্কার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ফাইরোজ অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আজ শনিবার রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।
অবন্তিকার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জবির প্রক্টর ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘আমরা বিষয়টি জেনেছি। অফিস খুললেই উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। আর যেহেতু অভিযুক্তের একজন আমাদের প্রক্টরিয়াল টিমের সদস্য তাই মাননীয় উপাচার্য সাময়িকভাবে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার মৌখিক নির্দেশনা দিয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়ায় তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’
অবন্তিকার সহপাঠীর বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এখনতো অফিস বন্ধ, অফিস খুললেই তাকে বহিষ্কারের নোটিশ দেওয়া হবে। যেহেতু সুইসাইড নোটে তাদের নাম এসেছে। অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হবে। এছাড়া আমাদের একটি প্রক্টরিয়াল টিম অবন্তিকার গ্রামের বাড়িতে যাচ্ছে। তার মায়ের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দুজনকে সামরিক বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এর আগে, আজ রাতে ফেসবুকে ‘এটা সুইসাইড না এটা মার্ডার। টেকনিক্যালি মার্ডার।’ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ওই ফেসবুক পোস্টে সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ করেন ফাইরোজ এবং তার মৃত্যুর জন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর দ্বীন ইসলাম ও সহপাঠী আম্মান সিদ্দিকীকে দায়ী করেন।
আরও পড়ুন:
ইবির ইসলামের ইতিহাস বিভাগে তালা!