রোজায় ইসবগুলের ভুসি কেন খাবেন?
ইসবগুলের শরবত রোজাদারকে শক্তি দেয়। এটি সারা দিন রোজা রাখার কারণে শরীরের নিস্তেজ ভাব দূর করতে সাহায্য করে। সারা দিনের ক্লান্তি দূর করার জন্য স্বাস্থ্যসচেতন রোজাদাররা নিয়মিত ইসবগুলের শরবত খেয়ে থাকেন। এ ছাড়া কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, আমাশয়সহ আরও বিভিন্ন রোগ সারিয়ে তোলে।
চলুন জেনে নিই ইসুবগুলের উপকারিতা সম্পর্কে–
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে পাইলসের সৃষ্টি হয়। পাইলস রোগীদের সারা বছর ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এটি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ৫ থেকে ১০ গ্রাম ইসবগুল এক কাপ হালকা ঠান্ডা বা হালকা গরম পানিতে আধঘণ্টা ভিজিয়ে রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অথবা সেহরিতে খালি পেটে খেয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়। খেতে পারেন ইফতারের শরবতের সঙ্গেও।
উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস থেকে রক্ষা করে
আরও পড়ুন:
শীতে গর্ভবতী মায়েদের যত্ন
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ইসবগুলের শরবত খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। উচ্চ রক্তচাপের পাশাপাশি টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ইসবগুলের শরবত দারুণ পথ্য হিসেবে বিবেচিত হয়। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেক রোজাদার সেহরি ও ইফতারে এটি খেয়ে থাকেন।
ডায়রিয়া উপশমে
সেহরি ও ইফতারে দুবার ৭ থেকে ২০ গ্রাম ইসবগুলের ভুসি খেলে ডায়রিয়া উপশম হয়। রোগীকে ইসবগুলের শরবত খাওয়ালে মিলবে উপকার। ডায়রিয়া থেকে সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্যসচেতন ব্যক্তিরা সবসময় ইসবগুলের শরবত খান।
হজমে সাহায্য করে
আরও পড়ুন:
জরায়ুমুখ ক্যানসারের লক্ষণগুলো জেনে রাখুন
সারা দিন রোজা রাখার কারণে হজম প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিকতা আসতে পারে। বিশেষ করে অনেক রোজাদার ইফতারে ভাজাপোড়া খাওয়ার কারণে হজমের সমস্যায় ভোগেন। ইফতার খাওয়ার পাশাপাশি ইসবগুলের শরবত খেলে হজমের সমস্যা দূর হয়ে যায়। এটি পাকস্থলী পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। রমজানে নিয়মিত ইসবগুল খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করলে হজমের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
আমাশয় থেকে রক্ষা করে
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইসবগুল আমাশয় রোগের জীবাণু নষ্ট করতে পারে না। তবে আমাশয়ের জীবাণু পেট থেকে বের করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। সেহরি ও ইফতারে দুবার করে ইসবগুলের শরবত খেলে আমাশয় থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন:
শীতে মুলা কেন খাবেন?