ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাবি প্রতিবেদক
০৪ মার্চ ২০২৪, ১২:৩৭
শেয়ার :
ঢাবি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের ভিন্ন ভিন্ন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট। গতকাল রবিবার রাতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে সিন্ডিকেট সভায় এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। 

সিন্ডিকেট সূত্রে জানা যায়, অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের স্নাতকোত্তর ২০২২ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আনা ব্যক্তিগত আক্রোশের কারণে ফলাফলের ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট।

কমিটিতে উপ- উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডক্টর সীতেশ চন্দ্র বাছারের নেতৃত্বে অন্য দুজন সদস্য হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. আবুল মনসুর আহাম্মদ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক বাহালুল হক চৌধুরী। এই কমিটিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। 

সূত্র আরও জানায়, অধ্যাপক নাদির জুনায়েদের বিরুদ্ধে বিভাগের একজন নারী শিক্ষার্থী এবং রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপর এক নারী শিক্ষার্থীর আনা যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি বা তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটির প্রধান আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সীমা জামান।

অন্য দুজন সদস্য হলেন- সিন্ডিকেট সদস্য ও হাজী মোহাম্মদ মুহসীন হলে প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মাসুদুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর সঞ্চিতা গুহ। সিন্ডিকেটকে প্রতিবেদন দিতে কমিটিকে দুই সপ্তাহের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রতিবেদন পরবর্তী সময়ে যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ সেলে পাঠানো হবে ।

উল্লেখ্য, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক নাদির জুনাইদের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত আক্রোশে ফলাফলে ধস নামিয়ে দেওয়ার অভিযোগ করে বিভাগের ১২ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগের পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে স্বতন্ত্র ও নিরপেক্ষ কমিটি গঠন করে মৌখিক পুনঃগ্রহণ ও সম্পূর্ণ ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন এবং অধ্যাপক নাদির জুনাইদের কৃতকর্মের জন্য দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করার দাবি জানায়। 

একই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ১০ ফেব্রুয়ারি বিভাগের এক শিক্ষার্থী যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি ড. নাদিরের বিরুদ্ধে মৌখিক যৌন হয়রানি ধামাচাপা দেওয়ার অন্য আরেকটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বিভাগটির আরেক নারী শিক্ষার্থী। 

অভিযোগের প্রতিবাদে সব ধরনের শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করে ক্যাম্পাসে অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা। এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ওই অধ্যাপকের বিরুদ্ধে আরেকটি যৌন হয়রানি ও মানসিক নিপীড়নের অভিযোগ করেন রাজধানীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী।