‘ওরো লিনো ও গল্প’র উদ্বোধন ঘোষণা
‘ওরো লিনো এবং গল্প’ স্বপ্নপ্রবণ দম্পতি মনিরুজ্জামান খান এবং মিসেস এনা আহমেদ খানের সৃজনশীল প্রচেষ্টা। ফ্যাশন জগতের নতুন সম্ভাবনা নিয়ে সম্প্রতি বনানী ক্লাব ব্যাঙ্কোয়েট হলে একসাথে ব্র্যান্ড দু’টির উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
‘লিনেন ফ্রম গোল্ড’ এই মূলনীতিকে প্রতিপাদ্য করে ওরো লিনো-র লক্ষ্য বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন অনুরাগীদের জন্য সোনার মতো মূল্যবান স্বাচ্ছন্দ্যের যোগান দেয়া। অতুলনীয় সোনার সাথে লিনেন-এর কালজয়ী বিলাসিতাকে নির্বিঘ্নে একত্রিত করে বৈশ্বিক ফ্যাশন জগতে বিপ্লব ঘটানো।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন ঘোষণাকালে, ওরো লিনোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান খান বাংলাদেশি ব্র্যান্ডগুলোকে বৈশ্বিক মঞ্চে স্থান দিতে তার অটল অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ‘কেন বাংলাদেশি একটি ব্র্যান্ড বিশ্বব্যাপী প্ল্যাটফর্মে স্থান পায় না?’ তিনি আক্ষেপের সাথে প্রশ্ন করেছেন। ওরো লিনো-কে তিনি সত্যিকারের বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ড তৈরির দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেন।
‘ওরো লিনো’ বাংলাদেশি একটি ব্র্যান্ড, বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত ফ্যাশন ব্র্যান্ডের শূন্যতা পূরণ করার চেষ্টা করবে। একটি বিশ্ব মানের ব্র্যান্ড পরিচয় তৈরি করবে, যা সারা বিশ্বের ফ্যাশন উত্সাহীদের সাথে অনুরণিত হয়।
‘ওরো লিনো’ এবং ‘গল্প বাই এনা খান’-এর ক্রিয়েটিভ ডিরেক্টর মিসেস এনা আহমেদ খান, ‘গল্প বাই এনা খান’-এর পিছনে তাঁর হৃদয়গ্রাহী অনুপ্রেরণা শেয়ার করেছেন। প্রতিটি সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকৃতি ও ঐতিহ্যের সৌন্দর্য প্রদর্শনে তার ইচ্ছার উপর জোর দিয়েছেন। নিরবধি গল্প বলার এবং জাতিগত ঐতিহ্যের প্রতি ব্র্যান্ডের প্রতিশ্রুতি ও হস্তশিল্পের মাধ্যমে তুলে ধরার প্রয়াস ব্যক্ত করেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মনিরুজ্জামান খানের অনুপ্রেরণামূলক বক্তৃতার মাধ্যমে শুরু হয়, তারপরে একটি মনোমুগ্ধকর র্যাম্প শো-তে ‘ওরো লিনো’ এবং ‘গল্প বাই এনা খান’-এর সংগ্রহ প্রদর্শন করা হয়। প্রতিটি টুকরো ঐতিহাসিক যুগ, মিশরীয় সৃষ্টি এবং প্রকৃতি-অনুপ্রাণিত থিমের গল্প প্রদর্শন করেছে, যা কারুশিল্প, উদ্ভাবন এবং ফিউশন ফ্যাশনের প্রতি ব্র্যান্ডের উত্সর্গকে প্রতিফলিত করে।
‘ওরো লিনো’ পোশাকের লাইনে রূপান্তরিত হয়ে, দর্শকদেরকে ফ্যাশনের আধুনিক ব্যাখ্যায় আন্তঃসীমান্ত ফিউশন টুইস্টের সাথে ব্যবহার করা হয়েছিল। ফ্যাশনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ এবং বিশ্বব্যাপী শৈলী উত্সাহীদের একটি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার জন্য ওরো লিনোর উচ্চাকাঙ্ক্ষা পুরো শোকেস জুড়ে স্পষ্ট ছিল।
মনিরুজ্জামান খান লন্ডন, টোকিও, সান ফ্রান্সিসকো, সিউল এর মত আইকনিক শহরগুলোর পাশাপাশি “ঢাকা”-কে পরবর্তী ফ্যাশন রাজধানী হিসাবে কল্পনা করেছেন। তিনি ওরো লিনো পণ্যগুলিকে সহজলভ্য করতে প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনকে সমন্বিতভাবে এই বৃহত্তর দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করার জন্য বাংলাদেশি ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন।
‘ওরো লিনো’ এবং ‘গল্প বাই এনা খান’ একটি অসাধারণ যাত্রা শুরু করে, বিলাসিতা, ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনের সমন্বয়ে বিশ্ব ফ্যাশন শিল্পে একটি স্বতন্ত্র চিহ্ন খোদাই করে, যা বাংলাদেশের ফ্যাশন শ্রেষ্ঠত্বের একটি নতুন যুগকে অনুপ্রাণিত করে।
